Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Chandannagar

Chandannagar Municipal Election: বাইরের চাকচিক্যে হবে না, রবীন্দ্র ভবনের সংস্কার প্রয়োজন

কতটা পরিষেবা দিতে সক্ষম হল চন্দননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন? আসন্ন পুর নির্বাচনে কোন দিকগুলোর কথা মাথায় রেখে ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ?

চন্দননগর রবীন্দ্র ভবন।

চন্দননগর রবীন্দ্র ভবন।

রামকৃষ্ণ মণ্ডল
রামকৃষ্ণ মণ্ডল
শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:০৩
Share: Save:

চন্দননগর প্রাচীন শহর। স্বাধীনতার পর পুরবোর্ড গঠন হয়। চন্দননগর যে হেতু ফরাসিদের হাতে ছিল তাই অনেকটাই পরিকল্পনা করে এখানকার রাস্তাঘাট তৈরি হয়েছিল। এগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পুরবোর্ড করে। আমরা দেখেছি যে বিগত পুরবোর্ড সেগুলো দায়িত্বের সঙ্গেই করেছে।

চন্দননগরের পরিছন্নতা মোটের উপর ভাল। শহরের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টও ভাল। তবে নতুন পুরবোর্ডের কাছে আরও পরিচ্ছন্নতা আশা করি।

চন্দননগরের পানীয় জল নিয়ে কিছু বলার নেই। পানীয় জলের কোনও অভাব নেই শহরে। তার উপরে নতুন করে ২৪ ঘণ্টার জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ চলছে। শহরের জন্য ভাল উদ্যোগ।

চন্দননগর গড় দিয়ে ঘেরা। সেই গড় দীর্ঘ দিন সংস্কার হয়নি। কিছু বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠেছে। দখল হয়ে গিয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যাটা সেখান থেকেই শুরু হয়। এখনও চন্দননগরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে যদি বৃষ্টি হয়, তা হলে জল জমে থাকে। বিগত পুরবোর্ড এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। কিন্তু খুব একটা সফল হয়নি। আশা করব, পরবর্তী পুরবোর্ডে ক্ষমতায় যারাই আসুক না কেন এই বিষয়টার উপর বিশেষ নজর দেবে। সার্বিক চন্দননগরের নিকাশি কিন্তু খারাপ নয়।

চন্দননগরে আলোর সমস্যা নেই। বিশেষ করে রাস্তাঘাট যথেষ্ট আলোকোজ্জ্বল। এখন বেশ কিছু নতুন আলো লাগানো হয়েছে। ফলে অলি-গলি সব রাস্তায় যথেষ্ট আলো। বিগত পুরবোর্ড এ জন্য কৃতিত্ব দাবি করতে পারে।

চন্দননগরে একটাই রবীন্দ্র ভবন আছে। যার বাইরে চাকচিক্য। কিন্তু ভিতরের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। এই ভবন পুরসভা পরিচালিত। আমরা অনেক বার বলেছি। চন্দননগরের যিনি বিধায়ক, তিনি নিজে সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ। তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বেও তিনি রয়েছেন। হয়তো তাঁরা চেষ্টা করছেন। আমি বলব যারা এর পর পুরবোর্ডে ক্ষমতায় আসবে, তারা যেন হলের ভিতর দিকেও একটু নজর দেয়। এটাকে যেন অনুষ্ঠান করার উপযোগী করে তোলে। কারণ এই হলের উপর আমরা চন্দননগরের মানুষ পুরোপুরি নির্ভরশীল।

এ ছাড়াও আমরা চন্দননগরের মানুষ গত কয়েক বছর জনপ্রতিনিধিদের পায়নি। কোন কারনেই হোক পুরভোট পুরো মেয়াদ শেষ করার আগেই ভেঙে গিয়েছিল।আমি চাইব এবার যেন একটি স্থায়ী পুরো বোর্ড গঠন হয়।

চন্দননগরের মানুষ বরাবরই শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক লড়াই এ হার-জিত থাকবেই তবে সবাই যেন মিলেমিশে বসবাস করতে পারি সেটা দেখা দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandannagar Municipal Elections
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE