সমকামী সম্পর্কে থাকা এক তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম প্রীতম দাস (১৯)। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয় রেল লাইন থেকে। হুগলির পাণ্ডুয়ার এই ঘটনায় গ্রেফতার মৃতের দুই বন্ধু।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রীতম গত ১১ তারিখ বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে মহানাদ যাবেন বলে। রাতে বাড়ি ফেরেনি। পরের দিন ভোরে ব্যান্ডেল জিআরপি তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পাণ্ডুয়া আর খন্যানের মাঝের রেল লাইন থেকে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দেহ উদ্ধারের পরে মৃতের দিদি প্রিয়াঙ্কা দাস পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রীতমের দুই বন্ধু অভি ঘোষ ও কুশল ঘোষের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে রবীন্দ্রপল্লির ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রীতমদের আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। গত কয়েক বছর ধরে পাণ্ডুয়ায় দাদুর বাড়িতে থাকত তাঁর মা ও দুই বোন। প্রীতম মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন।
বৃহস্পতিবার মৃতের মাসতুতো দিদি রিয়া কুন্ডু বলেন, ‘‘ভাই নাচের শো করত। অভি ডিজে বাজাত। দু’জনের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। গত প্রায় তিন মাস অভির জন্যই পাণ্ডুয়াতেই ছিল প্রিতম। অনেক রাত পর্যন্ত তাদের ভিডিও কলে কথা হত। ওরা সমকামী সম্পর্কে ছিল। প্রীতম ছেলেদের পছন্দ করত। অভির প্রতি ও দুর্বল ছিল। ওদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়াও হত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওরা অভিমান করত যেমন প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে হয়।’’ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ইদানিং প্রীতমকে সহ্য করতে পারছিলেন না অভি। তাই হয়তো খুন!
এই প্রসঙ্গে হুগলি গ্রামীণের ডিএসপি (অপরাধ) অভিজিৎ সিন্হা মহাপাত্র বলেন, ‘‘ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে রেললাইন থেকে। তাঁর পরিবার পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
অভিযুক্ত দুজনকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে চুঁচুড়া আদালত।