Advertisement
E-Paper

হাওড়ায় করোনা আক্রান্ত ১০ পুলিশ, রেশন ডিলার

জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সূত্রের খবর, জগৎবল্লভপুর থানায় মোট পুলিশকর্মীর সংখ্যা ৩৯। তাঁদের মধ্যে দুই অফিসার-সহ ১০ জন পুলিশকর্মী এবং এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৬:১৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

একসঙ্গে জগৎবল্লভপুর থানার ১০ জন পুলিশকর্মী এবং বাগনানের এক রেশন ডিলার আক্রান্ত হওয়ায় গ্রামীণ হাওড়ায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ল। এর আগে বাগনান থানার এক পুলিশ অফিসার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও থানার একসঙ্গে এতজন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জেলায় এই প্রথম।

জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সূত্রের খবর, জগৎবল্লভপুর থানায় মোট পুলিশকর্মীর সংখ্যা ৩৯। তাঁদের মধ্যে দুই অফিসার-সহ ১০ জন পুলিশকর্মী এবং এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার সকালে তাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁদের ফুলেশ্বরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের থানাতেই নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে, এতে থানার পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায়। তিনি বলেন, নিভৃতবাসের সব নিয়ম মেনেই পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলরা কাজ করবেন।’’

বাগনানের যে রেশন ডিলার আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁকেও ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। জেলায় কোনও রেশন ডিলারের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাও এই প্রথম।

এই পরিস্থিতিতে রেশন ডিলাররা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশের মতো বিমা করানোর দাবি তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশ মেনে এপ্রিল মাস থেকে তাঁরা হাজার হাজার মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিলি করছেন। ফলে, বহু মানুষের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে।

‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর জেলা সভাপতি বিকাশ বাগ বলেন, ‘‘সরকারের তরফে আমাদের মাস্ক দেওয়া হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করে আমরা খাদ্যসামগ্রী বিলি করি। কিন্তু তাতেও যে নিরাপদ নই, তা প্রমাণিত হল। খাদ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা বিমার দাবি জানাব।’’

হুগলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। প্রশাসনের দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যেই সংক্রমণ বেশি। তবে, লকডাউন শিথিল হতেই এই জেলায় দূরত্ব-বিধি শিকেয়। মাস্ক ছাড়াই অনেকে পথেঘাটে বেরিয়ে পড়ছেন। পুলিশও গা ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।

এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও মানছেন। তাঁদেরই একজন বলেন, ‘‘এটা বাস্তব, পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরার পরে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। সংক্রমণ আটকাতে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। কিন্তু মানুষের ব্যক্তিগত সচেতনতা ছাড়া অতিমারি কি কোনওভাবে রোখা সম্ভব?’’

মঙ্গলবার শ্রীরামপুর পুরসভার এক বিদায়ী কাউন্সিলরের শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই রাতেই তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

Coronavirus Health Covid-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy