Advertisement
E-Paper

দু’টি জলপ্রকল্প পাচ্ছে হাওড়া, প্রতীক্ষা দু’বছরের

গরমে হাওড়া পুর এলাকার ওয়ার্ডগুলিতে জল সঙ্কটের ছবিটা নতুন কিছু নয়। তার অন্যতম কারণ, প্রায় ৩৩ বছর আগে পদ্মপুকুর জল প্রকল্প তৈরির পরে জনসংখ্যা ১৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেলেও, নতুন প্রকল্প তৈরি হয়নি।

দেবাশিস দাশ

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২৮
কর্মযজ্ঞ: নতুন জল প্রকল্পের কাজ চলছে হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

কর্মযজ্ঞ: নতুন জল প্রকল্পের কাজ চলছে হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

এত বছর ভরসা ছিল পদ্মপুকুর জল প্রকল্প। এ বার তৈরি হচ্ছে আরও দু’টি জল প্রকল্প। আগামী দু’বছরের মধ্যে সে কাজ শেষ হলে হাওড়ার বাসিন্দাদের জলকষ্ট অনেকটাই মিটবে বলে দাবি করছেন পুর কর্তারা।

গরমে হাওড়া পুর এলাকার ওয়ার্ডগুলিতে জল সঙ্কটের ছবিটা নতুন কিছু নয়। তার অন্যতম কারণ, প্রায় ৩৩ বছর আগে পদ্মপুকুর জল প্রকল্প তৈরির পরে জনসংখ্যা ১৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেলেও, নতুন প্রকল্প তৈরি হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি পদ্মপুকুর জল প্রকল্পেরও। সঙ্গে যোগ হয়েছিল অবৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নীচে পাইপ পাতার কাজ ও জলের অপচয়। প্রতি গরমে পানীয় জলের হাহাকার হলেও পুরসভার কিছু করার থাকত না।

পুরসভা সূত্রের খবর, হাওড়া পুরসভায় তৃণমূল বোর্ড গঠিত হওয়ার পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভার পাশে আসেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এক কোটি গ্যালন করে দু’টি প্রকল্পের অনুমোদন মেলে। যার খরচ ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ ভাবে দেবে। অন্য প্রকল্পটির খরচ রাজ্য সরকার একক ভাবে দেবে।

পুরসভা সূত্রে খবর, দু’টি প্রকল্প তৈরি হচ্ছে পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের জমিতেই। একটির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ছ’নম্বর বরোর চেয়ারম্যান ও পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈকত চৌধুরী জানান, এই দু’টি প্রকল্পের জল নদী থেকে তোলার জন্য নাজিরগঞ্জে ইনটেক জেটি হচ্ছে। এ জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি মিলেছে। সেখান থেকে আন্দুল রোড দিয়ে পাইপ আনা হবে পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের জমিতে।

সৈকতবাবু বলেন, ‘‘২০১৯ সালের মধ্যে দু’টি প্রকল্পই চালু হয়ে যাবে, আশা করা যাচ্ছে।’’ তিনি জানান, বতর্মানে পদ্মপুকুর প্রকল্প থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি গ্যালন জল পাওয়া যায়। এই দু’টি প্রকল্প শেষ হলে জলের চাহিদা মিটবে।

কিন্তু সে তো দু’বছরের প্রতীক্ষা। আগামী গ্রীষ্মে সঙ্কট মেটাতে পুরসভা কী করছে?

পুরসভা সূত্রের খবর, পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের জল শোধন করতে গিয়ে যে পরিমাণ জল নষ্ট হয়, তা একটি জলাধারে ফেলে ফের শোধন করা হবে। এতে প্রায় আড়াই মিলিয়ন গ্যালন জল মিলবে। পাশাপাশি, বালি জল প্রকল্প চালানোর সময় ১০-১২ ঘণ্টার বেশি বাড়ানো হবে। এতে সংযুক্ত এলাকার চাহিদা মতো সাড়ে তিন মিলিয়ন গ্যালন জল মিলবে। সৈকতবাবু বলেন, ‘‘সংযুক্ত এলাকায় আপাতত যে পাইপলাইন পাতা আছে, সেখানে দু’মাসের মধ্যে জল পৌঁছে যাবে।’’

Water Project জল প্রকল্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy