দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ডানকুনি টোলপ্লাজায় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, টোলপ্লাজার সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখেই ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃত কমলেশ যাদব, রামলাল যাদব এবং চান্দু যাদব কলকাতার বাসিন্দা। তারা কন্টেনারের মালিক। তাদের বিরুদ্ধে মারামারি, ভাঙচুর, গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনজনেরই ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
ওজন মাপার এই যন্ত্র ঘিরেই গোলমাল (উপরে)। নীচে, আদালতের পথে ধৃতেরা। ছবি: দীপঙ্কর দে।
রাজ্যে পণ্য পরিবহণে ওভারলোডিং নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইমারতি দ্রব্য থেকে কৃষিপণ্য—সব ক্ষেত্রেই বহন ক্ষমতার চেয়ে বেশি মালপত্র ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর ফলে দুর্ঘটনা ছাড়াও রাস্তারও ক্ষতি হচ্ছে। জাতীয় সড়কগুলিতে এই প্রবণতা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় সড়কে কাঁটা (যে যন্ত্রে ট্রাকের ওজন মাপা হয়) বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গত ২৪ জুন থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ডানকুনি টোলপ্লাজায় ওই যন্ত্র কার্যকর হয়েছে। কাঁটায় অতিরিক্ত ওজন ধরা পড়লেই দশগুণ বেশি টোল দিতে হচ্ছে। এক ট্রাকচালকের কথায়, ‘‘ধরুন বীরভূম থেকে কেউ পাথর নিয়ে আসছে। বাকি রাস্তা ভাল এলেও দুর্গাপুরএক্সপ্রেসওয়েতে ডানকুনি টোলে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। এতে উপরি উপার্জন কমায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়েছে।’’ রবিবার হামলার পিছনে তাদেরই লোকজন ছিল টোল কর্তৃপক্ষের ধারণা। রবিবার হামলার পরে কাঁটায় ওজন করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে ফের ওই ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়।
টোলপ্লাজার আইএনটিটিইউসি সংগঠনের সভাপতি সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, বাকি হামলাকারীদেরও পুলিশ গ্রেফতার করুক। টোল সংগ্রহ নিয়ে কারও কোনও বক্তব্য থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলুক। কর্মীদের উপর হামলা বন্ধ হওয়া দরকার।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বাকি হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy