শিশু পাচারের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তিন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবারের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সরিষাহাট মোড় থেকে চম্পা, বেদনা ও কল্পনা ভুঁইয়া নামে তিনজনকে ধরা হয়। এদের বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুরের হরিনারায়ণপুর গ্রামে। এ দিন ধৃতদের ডায়মন্ড হারবার আদলতে তোলা হলে বিচারক কল্পনা ও বেদনাকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং চম্পাকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলা হাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ অক্টোবর স্থানীয় শিমলা গ্রামের এক মহিলা তাঁর বছর আড়াইয়ের শিশুর চিকিৎসার জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে আসেন। সেখানে এক মাঝবয়সী মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। শিশুটি জল খাবার জন্য কান্নাকাটি করায় ওই মহিলার কাছে শিশুকে রেখে জল আনতে যায় শিশুর মা। ফিরে এসে তিনি তাঁর মেয়ে ও ওই মহিলাকে আর দেখতে পাননি। এরপরেই থানায় অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সরিষার মোড়ে ওই তিন মহিলা একটি শিশুকে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। সে সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে ফেলে। মারধর করার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। হাসপাতালে শিশু পাচারের পর থেকেই নানা ভাবে তল্লাশি চলছিল। ওই মহিলারা শিশু পাচার করেছে কিনা, তা হাসপাতালে নিখোঁজ হওয়া শিশুর মাকে এনে সনাক্ত করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেহ উদ্ধার। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বনগাঁর পুলিশ শনিবার দুপুরে থানার কাছেই ইছামতী নদী থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। কচুরিপানার মধ্যে দেহটি আটকে ছিল। এখনও পরিচয় জানা যায়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।