Advertisement
E-Paper

এ বার দাদপুরে প্রৌঢ়কে ফোনে ডেকে এনে খুন

তদন্তকারীদের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে। তবে, এই ঘটনাতেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধরা পড়েনি গুপ্তিপাড়ায় বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় জড়িতেরাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪০
নিহত আব্দুল জব্বর।—নিজস্ব চিত্র

নিহত আব্দুল জব্বর।—নিজস্ব চিত্র

বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ ঘিরে সোমবার সকালে তেতে উঠল হুগলির দাদপুর। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে দেহ আটকে অবরোধ হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ।

হুগলিতে দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য বেলাগাম। শনিবার রাতে গুপ্তিপাড়ায় এক বৃদ্ধের বাড়ির গ্রিল কেটে ঢুকে দুষ্কৃতীরা চপার দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছিল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রবিবার রাতে দাদপুরের পুঁইনানের বাসিন্দা আব্দুল জব্বর (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়কে খুন করা হয়। সোমবার সকালে তাঁর দেহটি মেলে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে, নীতপুর গ্রামে কাদার মধ্যে।

তদন্তকারীদের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই প্রৌঢ়কে। তবে, এই ঘটনাতেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধরা পড়েনি গুপ্তিপাড়ায় বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় জড়িতেরাও। আব্দুলকে কারা খুন করল, তা নিয়ে অন্ধকারে তাঁর পরিবারের লোকেরাও। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘দাদপুরের নিহতের দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুলের বাড়ি পুঁইনানে। তিনি ভাড়ার গাড়ি চালাতেন। রবিবার রাতে কাজ সেরে ফিরে খাওয়া সেরে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। তিনি তড়িঘড়ি বেরিয়ে পড়েন। আর ফেরেননি। বাড়ির লোকজন খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাননি। সোমবার সকালে কয়েক কিলোমিটার দূরে নীতকর গ্রামে তাঁর মৃতদেহ মেলে। পরিবারের লোকজন গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। প্রৌঢ়ের দেহটি যেখানে পড়েছিল, তার থেকে কিছুটা দূরে কাদার মধ্যে থেকে পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। তাতে ‘সিমকার্ড’ থাকলেও ব্যাটারি খুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই সিমকার্ডের সূত্র ধরে রবিবার রাতে যে ওই প্রৌঢ়কে ফোনে ডেকেছিল, তার খোঁজ চালানো হবে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ পুলিশ আসার আগেই অবশ্য গ্রামবাসীরা চুঁচুড়া-তারকেশ্বর রোড অবরোধ করেন। এক ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পুলিশ এলে শুরু হয় বিক্ষোভ। শেষমেশ পুলিশ দুষ্কৃতীদের দ্রুত ধরার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে। আব্দুলের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়।

আব্দুলের ছেলে শেখ হান্নান বলেন, ‘‘রাতে ফোনটা আসার পরেই বাবা বেরিয়ে যায়। কে ফোন করেছিল কিছুই বলেনি। রাতে বাড়ি না-ফেরায় বাবাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ফোনটা বেজে যায়। দোষীদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।’’ একই দাবি এলাকাবাসীরও। আব্দুলের পড়শি শেখ জামাল বলেন, ‘‘জব্বর ভাই কারও সাতেপাঁচে থাকতেন না। তাঁকে কারা খুন করল কিছুই বুঝতে পারছি না।’’

murder Dadpur Abdul Jabbar দাদপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy