পাশের জেলা হাওড়ার বড় সরকারি হাসপাতালগুলির আধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দমকল থেকেই। হুগলির পাঁচ সরকারি হাসপাতালে ওই কাজ নিয়ে অবশ্য সন্তোষই প্রকাশ করলেন জেলা প্রশাসন এবং দমকল-কর্তারা।
রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো হুগলির জেলাসদর চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল, চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল, শ্রীরামপুর ওয়ালশ, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল এবং উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেলে আগুন মোকাবিলায় ‘ইনবিল্ট সিস্টেম’-এর কাজ শুরু হয় গত বছর ডিসেম্বরে। এর মধ্যে চন্দননগরের কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। সোমবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর, পূর্ত দফতর এবং দমকলের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে গঠিত একধিক দল পাঁচ হাসপাতালে গিয়ে ওই কাজ খতিয়ে দেখেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
আপাতত সাবেক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা হলেও দ্রুত ‘ইনবিল্ট সিস্টেম’-এর মাধ্যমেই আগুন মোকাবিলায় নামা হবে জানিয়েছে জেলা দমকল দফতর। দফতরের বিভাগীয় কর্তা সনৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিভাগীয় অফিসারদের থেকে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলেই হাসপাতালগুলিতে কাজের অগ্রগতি সঠিক ভাবে বোঝা যাবে। তবে, সব জায়গাতেই কাজ হচ্ছে।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘পাঁচটি হাসপাতালে আগুন মোকাবিলার ব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই মোট ৯ কোটি টাকা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেই কাজ শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যেই সেই কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।’’