তাপসী মুখোপাধ্যায়। ছবি: তাপস ঘোষ।
এক বিধবাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠল পরিবারের প্রাক্তন রাঁধুনির ছেলেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের নাড়ুয়া পঞ্চাননতলায়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তাপসী মুখোপাধ্যায় নামে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে। ভিটে ফেরত পেতে পুলিশ এবং পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ বছর আগে তাপসীদেবীর শ্বশুর চন্দ্রকালী মুখোপাধ্যায় মারা যান। ২০১২ সালে স্বামী শ্যামাপদবাবুর মৃত্যু হয়। শ্বশুরবাড়িতে একাই থাকেন তিনি। ওই বাড়িতে রান্না করতেন জ্যোৎস্না চন্দ্র চন্দ্র নামে এক মহিলা। কয়েক বছর আগে তাঁর তিন ছেলে ওই বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, শ্বশুর এবং স্বামীর মৃত্যুর পর তারা তাপসীদেবীর উপর মানসিক নির্যাতন শুরু করে। বাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টা করে। তাপসীদেবীর অভিযোগ, কিছু দিন আগে জ্যোৎস্নাদেবীর ছেলেরা তাঁকে জানান, বাড়িটা তারা কিনেছে। তাদের কাছে দলিলও আছে। তাই তাপসীদেবীকে বাড়ি ছে়ড়ে দিতে হবে।
তাপসীদেবীর অভিযোগ ‘‘গত শুক্রবার জ্যোৎস্নার ছেলে সরোজ, না়ড়ু আর শিবু আমার জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেয়। আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।’’ সে দিন থেকেই খোলা আকাশের নীচে দিন কাটছে তাঁর। রাতে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে শুতে যান। মহিলার অভিযোগ, ‘‘দলিল জাল করে ওরা বাড়ির দখল নিতে চাইছে।’’ শনিবার দেখা গেল, বাড়ির পাশে গলিতে তাপসীদেবী বসে। এক পাশে পড়ে জিনিসপত্র। তাপসীদেবী বলেন, ‘‘কিছু টাকা ছিল আলমারিতে। সেটা খোয়া গিয়েছে। স্বামীর সোনার আংটি, আমার হার, বালাও খোয়া গিয়েছে।’’ বাসিন্দারাই চন্দননগরের মেয়রের কাছে তাঁকে নিয়ে যান। অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। জ্যোৎস্নাদেবীর তিন ছেলের বিরুদ্ধে তাপসীদেবী চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
চন্দননগরের মেয়র রামবাবু বলেন, ‘‘ওই মহিলা আমাকে সব জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy