Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Godrej HIT

ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুকুরে নজর প্রশাসনের

এ দিন শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক তনয় দেব সরকারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং পতঙ্গবিদ-সহ প্রশাসনের একটি দল ওই গ্রামে যান। এলাকার বেশ কিছু অপরিষ্কার পুকুরকে তাঁরা চিহ্নিত করেন। 

বেহাল: এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন আধিকারিকরা (বাঁ দিকে) প্রধানের বাড়ির সামনের পুকুরের হালই এমন (ডান দিকে) ছবি: দীপঙ্কর দে

বেহাল: এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন আধিকারিকরা (বাঁ দিকে) প্রধানের বাড়ির সামনের পুকুরের হালই এমন (ডান দিকে) ছবি: দীপঙ্কর দে

নিজস্ব সংবাদদাতা
গঙ্গাধরপুর শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০২
Share: Save:

ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে চণ্ডীতলার গঙ্গাধরপুরে। মঙ্গলবার এই এলাকার মোট ১৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত গ্রামবাসীকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ১৪০ জন গ্রামবাসীর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ দিন শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক তনয় দেব সরকারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং পতঙ্গবিদ-সহ প্রশাসনের একটি দল ওই গ্রামে যান। এলাকার বেশ কিছু অপরিষ্কার পুকুরকে তাঁরা চিহ্নিত করেন।

বস্তুত চলতি মাসেই সুমন দাস নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র গঙ্গাধরপুরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তার জেঠিমাও এরপর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার খবর মিলেছে মৃত ওই ছাত্রের দাদাও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। এরপরই টনক নড়ে প্রশাসনের। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় নোংরা পুকুরগুলি মশার আঁতুড়ঘর। গ্রামবাসীদের একাংশ সেইসব পুকুরে আর্বজনা ফেলেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত কোনও ব্যবস্থা নেয় না। তার জেরেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। গঙ্গাধরপুর লাগোয়া গ্রাম কুমড়াগোরি ও বনকৃষ্ণপুরেও ডেঙ্গি রোগীর দেখা মিলেছে।

এদিন প্রাশাসনের দলটি গ্রাম পরিদর্শনের সময় দেখেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কারেবী দাসের বাড়ির সামনের একটি পুকুরে আবর্জনা ভর্তি। প্রশাসনিক কর্তারা নির্দেশ দেন, পুকুরটি দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘প্রশাসন আপাতত পুকুরগুলি পরিষ্কার করে দেবে। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে পুকুরগুলি স্থায়ীভাবে পরিষ্কার রাখা এবং এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিয়ে হবে। পাশাপাশি যাঁরা পুকুরে আবর্জনা ফেলবেন তাঁদের থেকে জরিমানা আদায় করতে হবে।’’

প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, পতঙ্গবিদেরা ওই গ্রামের কিছু পুকুর এবং এলাকাকে ডেঙ্গিবাহী মশার উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সেখানে ব্লিচিং পাউডার এবং মশা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে। গ্রামবাসীদের সর্তক করা হয়েছে মশারি ছাড়া না শুতে।

মৃত ছাত্রের বাবা স্বপন দাসের অভিযোগ, ‘‘গ্রামের পুকুর এবং এলাকা আবর্জনায় ভর্তি। পঞ্চায়েত নজর দেয় না। গ্রামবাসীদের অনেকেই সচেতন নন। সেইজন্যই ডেঙ্গি এলাকায় বাসা বেঁধেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Godrej HIT
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE