ড্রোনের ক্যামেরায় ধরা সবুজদ্বীপ। নিজস্ব চিত্র
বিলম্ব হয়েছে বারে বারেই। বলাগড়ের সবুজদীপে প্রস্তাবিত ইকো-ট্যুরিজ়ম কেন্দ্রের কাজ এ বার দ্রুত শেষ করতে চাইছে প্রশাসন। আসন্ন শীতেই ওই কেন্দ্র পর্যটকদের জন্য খুলে দিতে চাইছে তারা।
হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা সবুজদ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। ওখানে যে সব কাজ বাকি আছে, দ্রুত তা শেষ করা হবে। আশা করছি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য পর্যটন কেন্দ্রটি খুলে দেওয়া যাবে।’’
শুক্রবার সকালে সবুজদ্বীপের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রলয় মজুমদার। বিডিও (বলাগড়) সমিত সরকার, সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়াররাও ছিলেন। ১০০ বিঘার বেশি এলাকা নিয়ে ঘেরা ওই কেন্দ্রে বেশ কিছু দিন মানুষের পা পড়েনি। ফলে, ঝোপজঙ্গল হয়ে গিয়েছে।
ড্রোন উড়িয়ে এ দিন গোটা এলাকার পরিস্থিতি দেখেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রলয়বাবু জানান, ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করে ওই চত্বর সবুজে ছেয়ে ফেলা হবে। দেশি-বিদেশি ফুল, বাহারি গাছ লাগানো হবে। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু কাজ হবে।
শিশুদের খেলার সরঞ্জাম, শিক্ষামূলক পার্ক, আর্ট কর্নার তৈরি করা হবে। রাত্রিবাসের জন্য থাকবে কটেজ। পুরনো কটেজগুলি নতুন করে সাজানো হবে। দ্বীপের মাঝখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সেখানে উঠে গঙ্গার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা।
প্রশাসন সূত্রের দাবি, পর্যটন কেন্দ্রটি ‘প্লাস্টিকমুক্ত এলাকা’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করা হবে। ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই কেন্দ্রের পরিকাঠামো তৈরির কাজ করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান।
কয়েক বছর আগে গঙ্গার উপরে অবস্থিত সবুজদ্বীপকে ইকো-ট্যুরিজ়ম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজও শুরু হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় বারে বারেই সেই কাজ থমকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy