বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক যুবক। পুলিশের জেরায় সেই বন্ধু দাবি করেন, চার দিন আগেই দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু হলেও তিনি কাউকে জানাননি। ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, না কি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বন্ধুকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে হাওড়া মর্গে গিয়ে মৃতের দেহ শনাক্ত করেন পরিজনেরা। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম গৌতম পাল (২৫)। গত শনিবার রাতে বালিঘাট বাসস্টপের কাছে রাস্তার মাঝখানে মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলানো অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে বালি থানার টহলরত পুলিশ। সেখান থেকে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের অনুমান, কোনও ভারী গাড়ি ওই যুবককে পিষে দিয়ে গিয়েছিল।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বসুকাটি চড়কতলার বাসিন্দা গৌতম কাঁসা-পিতল পালিশের কারখানায় কাজ করতেন। চলতি মাসের ৩ তারিখ, শনিবার রাতে প্রতিবেশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাইকে চেপে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। রাত বাড়লেও গৌতম বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও সন্ধান পায়নি তার পরিবার। গৌতমের খুড়তুতো দাদা তাপস বলেন, ‘‘মৃত্যুঞ্জয় বারবারই কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তাতেই আমাদের সন্দেহ হয়।’’ ৬ অগস্ট মঙ্গলবার নিশ্চিন্দা থানায় গিয়ে তাপসবাবুরা বিষয়টি জানালে পুলিশ সে দিনই মৃত্যুঞ্জয়কে আটক করে।