বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলার জেলা সদর কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিল বার করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার উপর হামলার প্রতিবাদে জেলাশাসকের বাংলো ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। আর তাকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার বাধল হাওড়ায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলার জেলা সদর কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিল বার করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মিছিল জেলাশাসকের বাংলোর কাছে এলে তা আটকে দেয় পুলিশ। লোহার ব্যারিকেড ভেঙে শ’তিনেক বিজেপি কর্মী এগিয়ে যান জেলাশাসকের বাংলোর সামনে। সেখানে গেটের সামনে বসে পড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। রাস্তায় বাঁশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাহ করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকা।
এরই মধ্যে একদল কর্মী বাংলোর গেট টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় বচসা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মহিলা পুলিশ না থাকা সত্ত্বেও মহিলা কর্মীদের উপর পুলিশি হামলার অভিযোগ ওঠে। কয়েক জন মহিলা কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি, তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এর পর ফের বিক্ষোভ শুরু হয়। উত্তেজনা ছড়ায় মহাত্মা গাঁধী রোডে জেলাশাসকের বাংলোর সামনে। রাস্তা অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এই পরিস্থিতি। বিজেপি হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর হামলার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশ তাঁদের উপর আক্রমণ করে। কোনও মহিলা পুলিশ ছাড়াই বিজেপি-র মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালায় পুলিশ।’’ দোষী পুলিশ কর্মীদের তাঁরা শাস্তির দাবি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণ অবস্থানের নামে আইনঅমান্য করে বিজেপি কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে পুলিশ কর্মীদের উপর চড়াও হন বিজেপি মহিলা কর্মীরা। ঘণ্টাখানেক বাদে ওঠে অবরোধ।
আরও পড়ুন: লোক নেই, তাই কনভয়ে হামলার নাটক করছেন, বললেন মমতা
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব, স্বাভাবিক রক্তচাপ, পালস রেট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy