বিরোধী দলের নেতা এবং তাঁর পরিবার, এক বিরোধী এজেন্টের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দু’টি অভিযোগ উঠেছে খানাকুল ও গোঘাটে।
তৃণমূলের ‘ভয়ে’ নির্বাচনের দিন থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন খানাকুলের জোট প্রার্থীর এজেন্ট ইব্রাহিম খান। তিনি সিপিএম কর্মী। গত শনিবার তিনি বাড়ি ফিরেছেন। এ দিন সকালে ইব্রাহিমকে পাট খেতে তুলে নিয়ে গিয়ে বাঁশ, রড দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।পুলিশ জানায়, এ দিন রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ হয়নি। খানাকুলের সিপিএম নেতা ভজহরি ভুঁইয়ার অভিযোগ, ‘‘পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি ফিরেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু পুলিশ কোনও নিরাপত্তা দিতে পারেনি।’’ তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, পাড়াগত ঝগড়ার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে।
অন্য দিকে, গোঘাটের কামচে গ্রামে সিপিএম নেতার স্বামীকে ভোটের ফল ঘোষণার দিনই মারধর করে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় ওই সিপিএম নেতা জগন্নাথ ঘোষের স্ত্রী নিরুপমা ঘোষ এবং শাশুড়ি ৭০ বছরের পারুলবালাদেবীকে জোর করে গাড়িতে চাপিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিরুপমার অভিযোগ, ‘‘ওরা দরজার কাছে গাড়ি এনে হুমকি দেয় ১০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি থেকে পালাতে হবে। বলেছিলাম, যে রাজনীতি করে সেই তো নেই। আমি কেন ঘর ছাড়ব? ওরা তখন গালিগালাজ দিতে শুরু করল। তার পরে তাণ্ডব শুরু করায় বাপেরবাড়ি চলে যেতে হল।’’
নিরুপমা বিষয়টি গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক তৃণমূলের মানস মজুমদারকে রাতেই ফোনে জানান। মানসবাবু বলেন, ‘‘ঘটনার সময়ই ওই বধূ ফোনও করেছিলেন। বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার মধ্যেই তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। দলের নির্দেশ ছিল, অতীতের সন্ত্রাসের কারণে যাঁরা ঘরছাড়া আছেন, তাঁদের আমরা দায়িত্ব নিতে পারব না। তবে তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর কোনও হামলা করা যাবে না। ওই পরিবারটিকে কারা ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে তা খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy