Advertisement
E-Paper

হরিণখোলায় বোমাবাজি, ঘরবাড়ি-বাইক ভাঙচুর

এলাকায় পুলিশ টহল চলছে। পুলিশও অশান্তির কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০৪:২৪
বোমাবাজির চিহ্ন দেখাচ্ছেন এক গ্রামবাসী। মধুরপুর গ্রামে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

বোমাবাজির চিহ্ন দেখাচ্ছেন এক গ্রামবাসী। মধুরপুর গ্রামে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

শাসকদলের সঙ্গে বিজেপির চাপান-উতোরের জেরে কয়েকদিন ধরেই তেতে ছিল আরামবাগের হরিণখোলা-১ পঞ্চায়েতের মধুরপুর গ্রাম। শুক্রবার রাতে বোমাবাজি এবং বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সেই উত্তাপ বাড়ল। তবে, গোলমালে কেউ হতাহত হননি।
এলাকাবাসীর দাবি, তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বোমাবাজি হয়। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকটি ঘর এবং মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল চলছে। পুলিশও অশান্তির কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। গোলমালের দায় একে অপরের উপরে চাপিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার গ্রামে দলীয় পতাকা টাঙান বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দেখা যায়, অধিকাংশ পতাকাই মাটিতে পড়ে রয়েছে। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ আনেন। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল দাবি করে, ঝড়ে পতাকা ছিঁড়ে গিয়েছে। ওই ঘটনার জেরে বুধবার থেকেই গ্রামে উত্তেজনা ছিল। শুক্রবার সকালে বিজেপি কর্মীরা ফের গ্রামে পতাকা টাঙালে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলেও তখন তা বেশিদূর গড়ায়নি। অন্ধকার নামতেই এলাকায় অশান্তি শুরু হয়। যথেচ্ছ বোমাবাজি চলে। অভিযোগ, দু’পক্ষই বাইরের লোকজন জড়ো করে। এলাকাবাসীর ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূল আমাদের দলীয় পতাকা খুলে ফেলে দিয়েছিল। আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করেন। তার জেরে বহিরাগতদের এনে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে তৃণমূল। প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কয়েকটি বাইকও। ঘটনাটি দলের রাজ্য স্তরে জানানো হয়েছে। পুলিশেও অভিযোগ জানানো হবে।”
পক্ষান্তরে, পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের আব্দুল আজিজ খানের অভিযোগ, “আমাদের দলের পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে এলাকা অশান্ত করতে চাইছে বিজেপি। বহিরাগতদের এনে বোমাবাজি করেছে। গ্রামবাসীই এর প্রতিবাদ করেছেন।” পুলিশ জানিয়েছে, হরিণখোলার দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রামে বিক্ষিপ্ত ভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটছে। আগে বালিখাদের দখল নিয়ে অশান্তি হত। এখন রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করা, ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায় এবং গ্রাম দখলের চেষ্টার অভিযোগ আসছে।

TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy