বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মৃতার স্বামী, দেওর ও পড়শি কথা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বাঁশবেড়িয়ার খামারপাড়ার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খামারপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব ঘোষের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার গাড়ুলিয়া নোয়াপাড়ার বাসিন্দা রত্নাদের বিয়ে হয় ১৯৮৮ সালের ৮ই মে। অভিযোগ, সে সময় পণ বাবদ নগদ টাকা, গয়না ও অন্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক বছর পরে অতিরিক্ত পণের দাবিতে রত্নাদেবীর উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। গত ২৪ মে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। তাঁর মৃত্যুর খবর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে বাপেরবাড়িতে জানানো হয়। ২৬ মে স্বামী সঞ্জীব, দেওর উজ্জ্বল ঘোষের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারিরীক অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করে মৃতার দাদা মানস দে। তাদের সাহায্য করার জন্য কাউন্সিলর আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার দাদা। তাঁর দাবি, ‘‘বোন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। জামাই ও বোনের দেওরকে সাহায্য করেছে স্থানীয় কাউন্সিলর আদিত্য নিয়োগী।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা পৌঁছনোর আগেই জামাই স্থানীয় কাউন্সিলরের সাহায্য নিয়ে দ্রুত ময়না তদন্ত ও দেহ সৎকার করে দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছি।’’ বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আদিত্যবাবু অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এক প্রতিবেশীর মৃত্যুতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করেছি। তাঁদের পারিবারিক দ্বন্দ্বে আমি শুধু শুধু কেন জড়াতে যাব। কে আমার নাম জড়ানো হল বুঝতে পারছি না। প্রতিবেশীর বিপদের দিনে পাশে দাড়িয়ে আমি কোনও অন্যায় কাজ করিনি।’’ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy