Advertisement
E-Paper

ফের নীল তিমির ছায়া, ছাত্রের কাউন্সেলিং শুরু

ছেলেটির পরিবার খুব দরিদ্র। তার বাবাও নেই। মা ফুল বিক্রি করেন। অনেক দিন ধরেই মোবাইলে গেম খেলত ছেলেটি। তাই প্রথমে ওই ছাত্রের মায়ের কিছুই নজরে পড়েনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৪৭
ক্ষত: কব্জিতে বাঁধা হয়েছে ব্যান্ডেজ। ছবি: সুব্রত জানা

ক্ষত: কব্জিতে বাঁধা হয়েছে ব্যান্ডেজ। ছবি: সুব্রত জানা

ফের নীল তিমির ছায়া। এ বারের ঘটনাস্থল বাগনানের দেউলটি।

মঙ্গলবার দুপুরে বাগনানের আষাড়িয়া ঈশ্বরীপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় তার সহপাঠীদের। তাকে জিজ্ঞাসা করায় প্রথমে কিছুই বলতে চায়নি। পরে অবশ্য শিক্ষকদের কাছে স্বীকার করে, সেও মজেছিল নীল তিমির খেলায়। ১৫ রাউন্ড পর্যন্ত খেলেছে সে। সেই খেলা থেকেই এই মন খারাপ।

ছেলেটির পরিবার খুব দরিদ্র। তার বাবাও নেই। মা ফুল বিক্রি করেন। অনেক দিন ধরেই মোবাইলে গেম খেলত ছেলেটি। তাই প্রথমে ওই ছাত্রের মায়ের কিছুই নজরে পড়েনি। ওই ছাত্রের মায়ের কথায়, ‘‘এক সপ্তাহ ধরে একটু অন্যমনস্ক ছিল। কিন্তু আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি।’’

ওই ছাত্রের এক সহপাঠী জানিয়েছে, দিন কতক সে কারও সঙ্গে কথা বলছিল না। মঙ্গলবার দুপুরে সে যখন মোবাইল নিয়ে মন খারাপ করে বসেছিল তখন তাদের প্রথম সন্দেহ হয়। ছাত্রটির বাঁ হাতের কব্জিতে রক্তের দাগও ছিল। সেখানে ত্রিভূজ এবং চতুর্ভূজের মতো ছবি আঁকা। তার সহপাঠীরা শিক্ষকদের খবর দিলে তাঁরা ছাত্রটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখনই ওই ছাত্র খেলার কথা স্বীকার করে। শিক্ষকরা ওই ছাত্রের আত্মীয়কে ডেকে পাঠান। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই ছাত্রকে থানায় কাউন্সেলিং করে পুলিশ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘ছাত্রটি স্বীকার করেছে সে ব্লেড দিয়ে তার হাতে এইসব চিহ্নগুলি এঁকেছিল। তবে সে এখন খেলা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।’’

Blue whale Counselling Student বাগনান
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy