সুখের সংসারে ছন্দপতন।
বাগনানের এক বৃদ্ধ দম্পতির ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল দুই গন্ধগোকুল। তারপর তাদের দুই সন্তান হয়। চার গন্ধগোকুলকে নিয়ে বেশ আনন্দেই দিন কাটছিল বৃদ্ধ দম্পতির। তারপর হটাৎ পরিস্থিতি বদলে যায়। গন্ধগোকুলগুলির উৎপাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় গ্রামবাসীর। অভিযোগ আসতে থাকে ভুরিভুরি। এর পর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় দু’টি বাচ্চা গন্ধগোকুল। ওই দম্পতির আশঙ্কা, মেরে ফেলা হয়েছে তাদের। বাকি দুই গন্ধগোকুলের প্রাণ সংশয় হতে পারে বুঝে মঙ্গলবার তাদের বন দফতরের হাতে তুলে দেন বাগনানের বেড়াবেড়িয়ার বাসিন্দা সৌরেন্দ্রশেখর বিশ্বাস এবং তাঁর স্ত্রী শিখাদেবী। সৌরেন্দ্রবাবু পেশায় চিকিৎসক। ঘর সামলান স্ত্রী শিখাদেবী। ওই দম্পতির ছেলেও চিকিৎসক। তিনি বাইরে থাকেন। তিনতলা বাড়িতে চার গন্ধগোকুল নিয়ে ভালই দিন কাটছিল ওই প্রৌঢ় দম্পতির।
সৌরেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘বছর দুই আগের কথা। দেখতাম, ঘর থেকে ফলমূল সব উধাও হয়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারতাম না কারা সেগুলি নিয়ে যাচ্ছে। তারপর একদিন দেখলাম, দোতলার ঘরে খেলে বেড়াচ্ছে দুটি পুরুষ ও স্ত্রী গন্ধগোকুল। তখনই বুঝলাম, এই কাজ তাদের।’’ তারপর দুই গন্ধগোকুলকে বাড়িতে আশ্রয় দেন ওই দম্পতি। পরিবারের নতুন সদস্যদের নিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন ওই দম্পতি। এরমধ্যে স্ত্রী গন্ধগোকুলটি জন্ম দেয় দুই সন্তানের। পরিবারের আনন্দ আরও বেড়ে যায়।