Advertisement
E-Paper

কারখানা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করল পুলিশ-দমকল

ধূলাগড়ে এক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় বয়লার ফেটে ৫ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করল দমকল ও পুলিশ। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ তুলে দমকল বিভাগ ওই কারখানার তিন জন মালিক ও ম্যানেজমেন্টের লোকেদের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৬ ০১:৫২
অলোকেশ ঢালির শোকার্ত পরিবার। ছবি: সুব্রত জানা।

অলোকেশ ঢালির শোকার্ত পরিবার। ছবি: সুব্রত জানা।

ধূলাগড়ে এক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় বয়লার ফেটে ৫ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করল দমকল ও পুলিশ। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ তুলে দমকল বিভাগ ওই কারখানার তিন জন মালিক ও ম্যানেজমেন্টের লোকেদের বিরুদ্ধে সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ কারখানার ম্যানেজমেন্টের তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করছে। সেই সঙ্গে পুলিশও কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, কারখানায় দুর্ঘটনা রোধের ক্ষেত্রে সাবধান না থাকা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুপার (হাওড়া গ্রামীণ) সুকেশ জৈন এবং হাওড়ার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার অভিজিৎ পাণ্ডে বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি দেখা গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

দমকল দফতর সূত্রে খবর, কারখানায় অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই। সর্বোপরি বয়লারটির তাপ নিয়ন্ত্রণ করার যথাযত ব্যবস্থা ছিল না বলেও প্রাথমিকভাবে দমকল ও পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা জেনেছেন। শুধু তাই নয়, কারখানার নিরাপত্তার (‌সেফটি) বিষয়টি দেখার জন্য অভিজ্ঞ কোনও অফিসারও ছিল না বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার কারখানা চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, গেটের ভিতর থেকে কয়েকজন কর্মী উঁকিঝুকি মারছেন। পুলিশ তাঁদের কয়েকদিন কারখানা ছেড়ে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ দিকে, আহতদের দু’জনের অবস্থা স্থিতিশীল। অন্য দুজনেরও অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই কারখানায় নিহত দুই শ্রমিক অলোকেশ ঢালি ও বিলাশ দাসের পাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, শোকের ছায়া। অলোকেশের বাড়ি ধূলাগড়ে। বাড়ির মধ্যে কান্নার রোল। স্ত্রী দেবজানী ঢালি ও মা সুলতাদেবী ঢালি বারে বারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। বাবা শান্তিরাম ঢালি দিনমজুর। তিনি বলেন, ‘‘অলোকেশ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল। তার টাকাতেই সংসার চলত!’’ একই অবস্থা পাঁচলার বাসিন্দা বিলাশ দাসের পরিবারেরও।

Police Fire-bridage Authority Death LAbour
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy