ভাঙচুরের পরে। —নিজস্ব চিত্র।
বাসে ভাঙচুর ও বাসকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক অটো চালকের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে চণ্ডীতলার মশাটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তৃণমূল নেতাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হলেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসকর্মীদের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই বাস চাঁপাডাঙা থেকে অহল্যাবাঈ রোড ধরে বনহুগলির দিকে যাচ্ছিল। মশাট বাজারের কাছে অন্য রুটের একটি অটো বাসটির সামনে ছিল। হঠাৎই অটো ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ে। বাসটিও একই ভাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তাতে অটোর পিছনে বাসটি ধাক্কা মারে। বাস কর্মীদের অভিযোগ, অটোটি হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ায় তাঁদেরও দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। অটোর তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু অটো চালক নেমে রড দিয়ে বাস কর্মী গোপাল হাজরাকে মারধর করেন। বাসের সামনের কাচ ভেঙে দেন। খবর পেয়ে কয়েক জন বাস মালিক চলে আসেন। অটোকে আটকে রাখা হয়। জখম বাস কর্মীর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
ওই রুটের বাসচালক সংগঠনের সম্পাদক পিনাকী মিত্র বলেন, ‘‘রুট জুড়ে এমনিতে অটো এবং টোটোর দাপটে আমরা মার খাচ্ছি। তার উপর এ ভাবে বেআইনি রুটের অটো চালকদের দাদাগিরি চলতে থাকলে তো বাস চালানো দায়। বিনা দোষে বাস কর্মীকে মারধর ও বাসে ভাঙচুর করা হল।’’ এক বাসমালিক বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কথাতেই আমরা অভিযোগ করিনি।’’ এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দল কাউকে মধ্যস্থতা করতে বলেনি। কেউ তা করে থাকলে ঠিক করেননি। বাসমালিকরা প্রয়োজনে পুলিশে অভিযোগ করুক। যা করার পুলিশই করবে। দল হস্তক্ষেপ করবে না।’’
বাস চালকদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের উপর মহল থেকে দফতরের মন্ত্রী সকলেই বেআইনি রুটের অটো বন্ধ করা এবং টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। উল্টে বেআইনি রুটের অটোচালকরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শাসকদলের নেতাদের একাংশের মদতে। প্রশাসনের দাবি, জেলার নানা জায়গাতেই বেআইনি রুটের অটো চলাচল রুখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy