Advertisement
২৪ মে ২০২৪

তদন্তে গিয়ে প্রৌঢ়কে মার, অভিযুক্ত পুলিশ

একটি ঘটনার তদন্তে গিয়ে অভিযুক্তের দাদুকে মারধরের অভিযোগ উঠল গোঘাট থানার অধীন বদনগঞ্জ বিট হাউসের পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রহৃতের মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০০
Share: Save:

একটি ঘটনার তদন্তে গিয়ে অভিযুক্তের দাদুকে মারধরের অভিযোগ উঠল গোঘাট থানার অধীন বদনগঞ্জ বিট হাউসের পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রহৃতের মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে গোঘাটের ছিলামপুর গ্রামে। পুলিশ ওই সময় ক্ষমা চেয়ে আহত প্রৌঢ় সরফুদ্দিন সরকারকে কামারপুকর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সরফুদ্দিনের অভিযোগ, ‘‘রাত ১টা নাগাদ পুলিশ ডাকাডাকি করে। ঘর খুলে বের হওয়া মাত্র গলার জড়ানো চাদর ধরে বাইরে টেনে নিয়ে মারধর করে বলে, ‘তোর নাতি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকায় এক নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে এসেছে। সে কোথায়?’ আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই পুলিশ গলার চাদর আরও পেঁচিয়ে ধরে টানতে টানতে গাড়িতে তোলে। গাড়িতে উঠেই রক্ত বমি হতে থাকে। তারপরেই গ্রামের মানুষ পুলিশের উপর খেপে যায়।’’ সরফুদ্দিনের দাবি, ‘‘আগের দিনই পুলিশকে নথিপত্র দেখিয়েছিলাম যে, আমরা নাতি যাকে বিয়ে করেছে তার বয়স ১৮ বছর ২ মাস হয়ে গিয়েছে। তারপরেও এই হামলা।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিন কয়েক আগে সরফুদ্দিনের নাতি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানা এলাকার এক তরুণীকে বিয়ে করে। ওই তরণীর বাবার দাবি, তাঁর নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সাবালিকা সংক্রান্ত কোনও নথি আগে দেখানো হয়নি। শুক্রবার দেখানো হয়েছে। তল্লাশি চালাতে গিয়ে মারধরের ঘটনার লিখিত আভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE