বিরোধীরা নয়, সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির বাজেট বৈঠকের শুরুতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে দলবল নিয়ে চলে গেলেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না!
গত মঙ্গলবারের ঘটনা। কিন্তু বৃহস্পতিবারেও এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে। তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরবার সতর্ক করছেন। কিন্তু এখানে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামার লক্ষণ নেই।
কেন সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির বাজেট বৈঠক ছাড়লেন বেচারামবাবু?
সিঙ্গুরের একাংশ হরিপাল বিধানসভা এলাকায় পড়েন। সেই সূত্রে ওই পঞ্চায়েত সমিতির বাজেট বৈঠকে বেচারামবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, হরিপালের বিধায়কের ক্ষোভ কোনও উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে নয়। বৈঠকের শুরুতেই বেচারামবাবু সমিতির সভাপতি প্রতিমা দাসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সরব হন। বিডিও সুমন চক্রবর্তী, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, প্রতিমাদেবী-সহ অনেকেই অবাক হন। কেননা, বিধায়ক যে অভিযোগ তোলেন, তা আলোচ্য-সূচিতে ছিল না। তা ছাড়া, এক মাস আগে সিঙ্গুর ব্লক অফিসে আয়োজিত কৃষিমেলার কার্ডে অনুমতি ছাড়া তাঁর নাম কেন দেওয়া হয়েছে, এ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বেচারামবাবু।
সেই সময়ে কাজি হাসান নামে এক সদস্য বিডিও-র কাছে জানতে চান, বিষয় বহির্ভূত আলোচনা কেন সভায় হবে? ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বেচারামবাবু উন্নয়নের ক্ষতি করছেন বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন। এর পরেই রেগে দলবল নিয়ে বৈঠক ছাড়েন বেচারামবাবু। এ নিয়ে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব না।’’ তবে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমাদেবী বলেন, ‘‘জানি না হঠাৎ কেন উনি আমাকে আক্রমণ করলেন? এই বিযয়টি আমার চেয়ে উনিই ভাল বলতে পারবেন।’’
সে দিনের গোটা ঘটনা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা, সিপিএমের উমাকান্ত দাস। তিনি বলেন, ‘‘বাজেট বয়কট করার কথা আমাদের। আর সেখানে দেখলাম তৃণমূলের বেচারামবাবুই দলবল নিয়ে সভা ছাড়লেন!’’ তবে, সে দিন বেচারামবাবু বেরিয়ে গেলেও বাজেট পেশ এবং পাশ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy