পরিবর্তন: এ ভাবেই সেজে উঠেছে এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।
এও এক ‘পরিবর্তন’!
ব্যস্ত জিটি রোডের ধারে স্তূপ হয়ে জমত পুরসভার রোজকার সংগৃহীত আবর্জনা। পূতিগন্ধময় সেই বর্জ্য টেনে রাস্তায় ছড়াত কুকুর-বিড়াল। এমনই নরক অবস্থা ছিল লিলুয়া বড় গেট চত্বরের। এখন সেই রাস্তার ধার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লম্বা বাগান। বিশ্ব বাংলার মডেল, বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র, ফোয়ারা, আলোয় সাজছে ওই জায়গা। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় হাওড়ার সঙ্গে বালি পুরসভার সংযুক্তির পরে সৌন্দর্যায়ন শুরু করেছেন হাওড়া পুরসভার কর্তারা।
হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তীর কথয়, ‘‘আবর্জনার স্তূপে চাপা পড়েছিল বালি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই বালিতে উন্নয়ন শুরু হয়েছে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, লিলুয়া এলাকার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের জায়সবাল হাসপাতাল থেকে বেলুড় বাজার পর্যন্ত জিটি রোডের ধারে এই সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছে। কাজের সহযোগিতায় রয়েছে হাওড়া পুরসভার উদ্যান ও বিজ্ঞাপন দফতর। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কৈলাস মিশ্র জানান, এক সময়ে বালি ও উত্তর হাওড়া বিধানসভার সীমানায় জায়সবাল হাসপাতালের সামনে সার দিয়ে
ঠেলা, ভ্যানরিকশা কিংবা টেম্পো রাখা থাকত। ধোঁয়া-ধুলোয় জিটি রোডের পাশের দেওয়ালগুলিও কালো
হয়ে গিয়েছিল। কৈলাস বলেন, ‘‘পুরসভা সেখান থেকে পার্কিং সরিয়ে দেওয়াল রং করেছে। তার উপরে ম্যুরালের মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রে খবর, জায়সবাল হাসপাতাল থেকে কিছুটা এগিয়ে বেলুড় বাজার এলাকায় রাস্তার ধারে জমে থাকত আবর্জনা। ওদিকে বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজ রয়েছে। দৃশ্য দূষণ রুখতে এক সময়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছিল। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ওই জায়গায় পুরসভা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করেছে। কিন্তু কোনও সৌন্দর্যায়ন না হওয়ায় পথচারীদের অলিখিত ভ্যাট ও উন্মুক্ত শৌচাগার তৈরি হয়েছে। সেখানেই এ বার উদ্যান গড়ে দিয়েছে পুরসভা।
ওই এলাকায় স্কুল-কলেজ থাকায় বেলুড় বাজার ও জায়সবালের দিকে তৈরি হয়েছে এডুকেশনাল হাবের তোরণ। বাস-স্টপ তৈরি হয়েছে
ছোটা ভীমের ঢোলকপুর ও ডিজনিল্যান্ডের আদলে। কৈলাস জানান, ছোটরা স্কুলে যাতায়াতের পথে এ সব দেখে মজা পাবে। তাই এমন করা হয়েছে। রাস্তার দু’ধারে লাগানো হয়েছে বাহারি আলো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy