কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় রবিবার নির্বিঘ্নেই মিটল চাঁপদানি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন। তবে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুপুরের পর থেকে বুথ দখলের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। রিটার্নিং অফিসার তথা চন্দননগরের মহকুমাশাসক সানা আখতার জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
এ দিন রাজ্যের সাতটি পুরসভার ভোট ছিল। একই সঙ্গে চাঁপদানির ওই ওয়ার্ডেও উপ-নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৫১৮৭ ভোটদাতার জন্য পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছিল। ওয়ার্ডটি তফসিলিদের জন্য সংরক্ষিত। গত পুর নির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকে জেতেন বিজেপি প্রার্থী রেখা সিংহ মাহাতো। কিন্তু তাঁর দাখিল করা শংসাপত্র ভুয়ো প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট রেখা সিংহের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে উপ-নির্বাচনের নির্দেশ দেয়।
এ বার এখানে কংগ্রেস এবং বামেরা কোনও প্রার্থী দেয়নি। তৃণমূল প্রার্থী রেখা পাসোয়ানের সঙ্গে সরাসরি লড়াই হয় বিজেপি প্রার্থী অঞ্জনা চৌধুরীর। গোলমাল এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ওয়ার্ড এবং সংলগ্ন চারটি ওয়ার্ডে (১০, ১১, ১৩ এবং ২২) ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
বিজেপির অভিযোগ, দুপুরের পর থেকে তাদের কর্মীদের বুথ থেকে বের করে ছাপ্পা ভোট দেয় তৃণমূল। ভোট-পর্ব মিটে যাওয়ার পরে বিজেপির পক্ষ থেকে মহাকুমাশাসকের দফতরের সামনে এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়। দলের বিজেপির জেলা সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দুপুরের পর থেকেই ভোট লুঠ শুরু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে দুষ্কৃতীদের জমায়েত করেই এই কাণ্ড ঘটায় তৃণমূল।’’ পক্ষান্তরে, অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমত কড়া নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিজেপি অশান্তি সৃষ্টির জন্য নানা প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy