দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাক।—নিজস্ব চিত্র।
কোথাও পথ নিরাপত্তার খামতি। কোথাও চালকের বেপরোয়া গতি। দুইয়ের যোগফলে বড়দিনের সকালে হুগলিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দু’টি দুর্ঘটনায় জখম হলেন চারজন।
এ দিন সকালে সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে পর পর চারটি গাড়ি ধাক্কা মারে। জখম হন দু’জন। অন্য ঘটনায় ‘বাইক-রেস’ করার সময় দাদপুরে চলন্ত গাড়ির পিছনে ধাক্কা মেরে জখম হলেন দুই মোটরবাইক আরোহী। তবে এ দিন দুর্ঘটনায় ফের হুগলির বিভিন্ন থানা এলাকায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে যত্রতত্র ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠল। ওই সব এলাকা মানুষের অভিযোগ, পার্কিং নিয়ে পুলিশের গাফিলতিতেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ সিঙ্গুরের সিংহের ভেড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারে একটি ছোট ট্রাক। তার পিছনে ধাক্কা মারে আর একটি ট্রাক। এর পর ওই ট্রাকটির পিছনে একটি বাস ও একটি মোটরবাইক ধাক্কা মারে। সব গাড়িগুলিই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছোট ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেটির এবং তার পিছনের ট্রাকের চালক জখম হন। তাঁদের সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, সকালে কুয়াশা ছিল। তাই গাড়ির গতি বেশি ছিল না। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে সকাল ১১টা নাগাদ দাদপুরের আমিরা ক্রসিংয়ের কাছে। সাঁতরাগাছি থেকে মোটরবাইকে ‘রেস’ করছিলেন কয়েক জন যুবক। দুর্গাপুর রোড ধরে তাঁরা বর্ধমানের দিকে যান। ফেরার সময় ওই রাস্তার কলকাকামুখি লেনে আমিরা ক্রসিংয়ের কাছে একটি মোটরবাইক প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। বাইকের দুই যুবক ছিটকে পড়েন। দাদপুর থানার পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘ওই বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট ছিল। না হলে কী হত, কে জানে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy