Advertisement
E-Paper

নিরাপত্তা বাড়াতে বসছে সিসি ক্যামেরা

অপরাধ, দুর্ঘটনা কী ভাবে রোখা যায়— তা নিয়ে বৈঠক কম হয়নি। কিন্তু সে সব যে কোনও কাজে আসছে না প্রতিদিনের ঘটনা সে কথাই বলছে। তাই নিরাপত্তা জোরদার করতে এ বার ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলার ব্যবস্থা হচ্ছে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকাকে।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৭
সিসিটিভিতে চলছে নজরদারি।  নিজস্ব চিত্র।

সিসিটিভিতে চলছে নজরদারি। নিজস্ব চিত্র।

অপরাধ, দুর্ঘটনা কী ভাবে রোখা যায়— তা নিয়ে বৈঠক কম হয়নি। কিন্তু সে সব যে কোনও কাজে আসছে না প্রতিদিনের ঘটনা সে কথাই বলছে। তাই নিরাপত্তা জোরদার করতে এ বার ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলার ব্যবস্থা হচ্ছে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকাকে।

বাসস্ট্যান্ড, বাজার, বিভিন্ন কারখানার সামনে এবং মুম্বই রোডের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে বসছে সিসি ক্যামেরা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতর এই খাতে ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজও খুব শীঘ্রই শুরু হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তাতে পরিবহণ দফতর যেমন টাকা দেবে, তেমনই সহায়তা নেওয়া হবে ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোগীদের কাছ থেকেও।

পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে খবর, মুম্বই রোডের বিভিন্ন জায়গায় রাতের দিকে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলে। বীরশিবপুর, মহিষরেখা, পাঁচলা প্রভৃতি এলাকা রাত দশটার পরে অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ে। ছিনতাই, লুঠপাটের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তা হলে পুলিশ-প্রশাসন কী করছে? গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, রাতে পুলিশ টহল দেয়। তবে কিছু দুষ্কৃতী ধরা পড়লেও অন্য জেলা থেকে দুষ্কৃতীরা এখানে এসে যখন অপরাধমূলক কাজ করে তাদের চিহ্নিত করা একটু কঠিন হয়ে যায়। কারণ, তাদের কোনও পুরনো রেকর্ড এই জেলায় থাকে না।

এ সবের পাশাপাশি গোষ্ঠী সংঘর্ষও ভাবাচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের। সম্প্রতি জেলার কয়েকটি এলাকায় গোষ্ঠী সংর্ষের জেরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তাই সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকলে এই তিনটি সমস্যা দূর করা অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছে পুলিশ। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা যেমন চিহ্নিত করা হয়েছে, তেমনই বাছা হয়েছে অপরাধপ্রবণ ও গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘটে এমন এলাকা। শুধু মুম্বই রোড সংলগ্ন নয়, জেলার বিভিন্ন বাজার, বাসস্ট্যান্ড—এই সব এ‌লাকাও আনা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার নজরজারিতে। হাওড়া শহর এলাকাতে ৭০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। এই মূল উদ্যোক্তা হাওড়া সিটি পুলিশের তৎকালীন ডিসি (ট্রাফিক) সুমিতকুমার। এখন তিনি আছেন গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্বে। তাঁর দাবি, ‘‘সিসি ক্যামেরা বসিয়ে শহর এলাকায় পথ দুর্ঘটনা ও অপরাধমূলক কাজ অনেকটাই কমানো গিয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ এলাকা অনেক বড় হলেও এখানেও সিসি ক্যামেরা বসানো হলে ফল মিলবে বলে মনে করি।’’

Tight Security CCTV Camera Howrah Rural Area
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy