উরির স্মৃতি এখনও টাটকা। তার উপর জঙ্গিদের নাগাড়ে হুমকি। তাই সব রকম সতর্কতাতেই জোর দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। যার পদক্ষেপ হিসাবে পুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপের ভিতরে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা করতে বলেছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ। তবে মূলত বিগ বাজেটের পুজোগুলির জন্যই এই নিদান দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, বিগ বাজেটের পুজোগুলি দেখতে প্রচুর ভিড় হয়। তাই দুষ্কৃতীদের নজর থাকে এই মণ্ডপগুলির দিকেই। এই অবস্থায় ভিড়ের সুযোগ নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে থেকে কেউ যদি নাশকতামূলক কাজ করে, সিসি টিভি-র সাহায্যে তাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে। তা ছাড়া ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রাখা খরচসাপেক্ষ। সে ক্ষেত্রে বড় পুজো কমিটিগুলি ছাড়া ওই খরচ বহন করা সম্ভব নয়।
পুজোর আগে বিভিন্ন থানায় পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে এই কথা জানানো হয়। পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক বড় পুজো কমিটিই মণ্ডপে সিসি টিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। যেমন ডোমজুড়ের বাঁকড়া সুভাষপল্লি ক্ষুদিরাম স্মৃতি সংঘ। এই ক্লাবের পুজোর বাজেট এ বার প্রায় ১২ লক্ষ। মেট্রো রেলের আদলে মণ্ডপ। ক্লাবের তরফে সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘আমাদের পুজো দেখতে প্রচুর মানুষ আসেন। প্রতিবছরই আমরা মণ্ডপের বাইরে সিসিটিভি বসাই। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ পেয়ে এ বছর মণ্ডপের ভিতরে সিসিটিভি বসাচ্ছি। এতে বাড়তি খরচ হলেও নিরাপত্তার বিষয়টিও ফেলনা নয়।’’