রঙের উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে এ বার হাওড়ায় নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিচ্ছে পুলিশ। আসছে বাড়তি বাহিনী। বসেছে সিসিটিভি।
শনিবার রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) ভরতলাল মিনা পানিয়াড়ায় হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের সদর দফতরে আসেন। পুলিশ সুপার-সহ সব থানার ওসি, আইসি ও অন্য পদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। সেখানে দোলের দিনে অশান্তি হলে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক হয়েছে যে সব জায়গায় আগে গোলমাল হয়েছে, সেখানে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। থাকবে বিশেষ বাহিনী, ডাকলেই যারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। বেশ কিছু জায়গায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। তার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। অশান্তির বিন্দুমাত্র খবর পেলেই পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাবে। থাকছে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ। গুজব রটানো হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে সাদা পোশাকের পুলিশ। পুলিশের মতে, আগের কিছু ঘটনায় দেখা গিয়েছে, ছোটখাটো কোনও বচসাই গুজবের জেরে বড় আকার ধারণ করেছে। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘হোলি আনন্দের উৎসব। সাধারণ মানুষ যাতে আনন্দে মেতে উঠতে পারেন তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’’
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি সাঁকরাইল, ডোমজুড়, উলুবেড়িয়া, বাহনান, জগৎবল্লভপুর, পাঁচলার মতো কিছু এলাকা নানা ঘটনায় তেতে উঠেছিল। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরাও ময়দানে নেমে পড়েছিল। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উদ্বিগ্ন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। তাঁর নির্দেশেই শনিবার ভরতলাল মিনা ওই বৈঠক করতে আসেন বলে সূত্রের খবর। এমনিতে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। তার উপরে এই জেলার উপর দিয়ে গিয়েছে মুম্বই রোড। মুখ্যমন্ত্রী-সহ ভিআইপি-দের ঘন ঘন আনাগোনা চলে ওই সড়কে। পুলিশকে সেখানে নজরদারির কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এই পরিস্থিতিতে গোলমাল ঠেকাতে পুলিশের নাভিশ্বাস ওঠে। তাই এ বার থাকছে বাড়তি বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy