—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের হিমঘরগুলিতে আলু রাখার সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু অন্তত ১৭৫টি হিমঘর এখনও চালু রয়েছে। কারণ, ওই সব হিমঘরের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং চাষিরা এখনও আলু বের করে নিয়ে যাননি। ফলে, বিপাকে পড়েছেন মালিকেরা। কবে থেকে হিমঘর বন্ধ করে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন আলু উঠতে শুরু করবে। তাই নিয়ম অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হিমঘর ফাঁকা করা জরুরি। এ রাজ্যে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ৫০০টি হিমঘর রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আলু উৎপাদক জেলা বর্ধমান, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের হিমঘর-মালিকদের একাংশই বিপাকে পড়েছেন। রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত থাকায় কিছু হিমঘর-মালিক আবার আলু বের করে হিমঘর চত্বরে তাঁদের নিজস্ব ছাউনিতেই রাখা শুরু করেছেন। হুগলির পুড়শুড়া, সিঙ্গুর, ধনেখালি, গোঘাট, পোলবা, চণ্ডীতলা-সহ বিভিন্ন হিমঘর-মালিকেরা একই সমস্যায় ভুগছেন। হিমঘর চালু না-থাকলে আলুর মান নষ্ট হয়ে যাবে। চাষি বা ব্যবসায়ীরা সেই আলু ফেরত নিতে চাইবেন না।
হুগলি জেলা হিমঘর-মালিক সংগঠনের চেয়ারম্যান তরুণ ঘোষের ক্ষোভ, ‘‘কবে থেকে যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করতে পারব, জানি না। কিছু হিমঘর চালু রাখার জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। কর্মীদের কাজে বহাল রাখতে হচ্ছে। ফলে, বাড়তি খরচ হচ্ছে। আবার সব আলু যে ছাউনিতে নিয়ে গিয়ে রাখব, তার শ্রমিকও মিলছে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল।’’ রাজ্য আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও রাজ্যের হিমঘরগুলিতে ৩ লক্ষ টন আলু মজুত রয়েছে। নতুন আলু উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এই অন্তবর্তী সময়ে রাজ্যের মানুষের খাওয়ার জন্য দেড় থেকে দু’লক্ষ টন আলু লাগবে।
কিন্তু তারপরেও বাড়তি এক লক্ষ টন আলু হিমঘরগুলিতে পড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আলুর কী গতি হবে? রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত অবশ্য অভয় দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘বাড়তি আলু নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে এ রাজ্যের প্রচুর আলু যাচ্ছে। ওই সব রাজ্যে নতুন আলু এখনও ওঠেনি। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’’
কিন্তু সে সবের পরেও যে সব হিমঘর এখনও চালু রয়েছে, তার মালিকেরা রক্ষণাবেক্ষণের সময় পাবেন তো? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy