পঞ্চায়েতে নিয়মিত রাজনৈতিক ঝামেলা হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে আছে। উন্নয়নের কাজ করা যাচ্ছে না। নিজের দলের বিরুদ্ধেই এ সব অভিযোগ তুললেন তৃণমূল পরিচালিত গোঘাট ১ ব্লকের বালি পঞ্চায়েত প্রধান অশোক রায়। তিনি শনিবার ডাকযোগে বিডিও’র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। একই সঙ্গে পঞ্চায়েতের সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি চেয়েছেন তিনি। প্রধানের অভিযোগ, ‘‘বিধায়ক মানস মজুমদারের নেতৃত্বে দলেরই অঞ্চল নেতা প্রভাত অধিকারী-সহ কয়েকজন পঞ্চায়েতে চড়াও হয়ে আমাকে হেনস্থা করছেন। অপরাধ, ত্রাণসামগ্রী আমাদেরই দলীয় কার্যালয়ে নামিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করে বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছিলাম। সেই ত্রাণসামগ্রী দলীয় কার্যালয় থেকে উদ্ধারও করেছে ব্লক প্রশাসন।’’ বিডিও অসিতবরণ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রধানের পদত্যাগপত্র এখনও পাইনি।’’
বালি পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ব্লক প্রশাসন থেকে ত্রাণ সামগ্রী পঞ্চায়েত অফিসে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু সেই ত্রাণ সামগ্রী পঞ্চায়েতে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছয়নি। প্রধান খবর নিয়ে জানতে পারেন, সেই সব সামগ্রী তাঁদের দিঘরা দলীয় কার্যালয়ে নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তা বিলি করতে হবে বলে প্রধানকে দলের পক্ষে চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার সকালে প্রধান বিডিও’র কাছে অভিয়োগ জানান। বৃহস্পতিবার রাতে বিডিও পুলিশ এনে দিঘরা থেকে সেই সামগ্রী পঞ্চায়েতে পাঠান এবং রাত ১২টা পর্যন্ত তা বিলি হয়। ত্রাণ সামগ্রী নামিয়ে নেওয়ার অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে ছিল, সেই বালি অঞ্চল সভাপতি প্রভাত অধিকারী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছিল। তাই দিঘরার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি থেকে ত্রাণ বিলির কথা ভেবে সামগ্রী নামাতে বলা হয়েছিল। দলীয় কার্যালয় থেকে বিলি বন্টনের কথা বলা হয়নি।’’ আর বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, ‘‘তিনি অভিযোগ আনতেই পারেন। বলে দিয়েছি তাঁর পদত্যাগ করা চলবে না। পদত্যাগপত্র গৃহীতও হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy