বক্তা: সিঙ্গুরের মঞ্চে দিলীপ ঘোষ। ছবি: দীপঙ্কর দে
সিঙ্গুর দিয়েই বামফ্রন্ট শাসনের ‘শেষের শুরু’ হয়েছিল! সেই সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়েই রাজ্য বিজেপির সভাপতি, বিধায়ক দিলীপ ঘোষ রাজ্যের বর্তমান শাসকদের উৎখাতের ডাক দিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুর স্টেশন লাগোয়া বুড়োশান্তি মাঠে এক দলীয় সভায় দিলীপবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যে ধোঁকাবাজ আর লুঠেরাদের সরকার চলছে। অন্য রাজ্যে গেলে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করেন, কোথা থেকে আসছেন, বাংলা বলতেই তাঁরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, কোন বাংলা? সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল, মদন মিত্রের বাংলা?’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমাদের এমনই দুর্ভাগ্য, আগে রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিমচন্দ্রকে দিয়ে বাংলাকে চিনত মানুষ। এখন সারদা-নারদার লুঠেরাদের দিয়ে চিনছে।’’
দিলীপের অভিযোগ, আগে কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দিত রাজ্যের উন্নয়নে, এখন তার দ্বিগুণ-তিন গুণ টাকা দেয়। কিন্তু সেই টাকার পুরোটাই চলে যাচ্ছে লুঠেরাদের হাতে। ওই টাকা সঠিক ব্যবহারের স্বার্থে আগামী পঞ্চায়েতে বিজেপি-কে জেতানোর ডাক দেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘টাটাদের ন্যানো কারখানাকে জোর করে আটকে জমি থেকে সমস্ত শেড উপড়ে ফেললেন উনি। ভেবেছিলাম, এ বার এখানে হয়তো চাষ হবে। কিন্তু ওই জমির পাশ দিয়ে আসার সময় দেখলাম, ওখানে কাশফুল ফুটে রয়েছে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, তাঁরা কিছু কাগজ পেয়েছেন। কিন্তু জমি ফেরত পাননি।’’ বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে পাহাড়ে পুলিশ ও গুরুঙ্গপন্থীদের সংঘর্ষে রাজ্য পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টরের মৃত্যু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘পাহাড় কেমন হাসছে, আজকের ঘটনা তার প্রমাণ।’’
এ দিনের সভা ঘিরে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দিলীপবাবু ছাড়াও ছিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ হুগলি জেলার নেতারা। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দু’ঘণ্টা পরে সভায় আসেন দিলীপ। দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, তিনি এ দিন হরিপালের বাসুদেবপুরে দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তারপরেই সেই বাড়িতে তৃণমূল হামলা করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের রাজনীতির আহ্বান জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy