আহত রাজাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: সুব্রত জানা।
এক যুবকের ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে বাগনানের বাঙালপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও আক্রান্ত পরিবারের তরফে রাত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি, দু’টি পরিবারের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে চলা বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। জখম যুবক শেখ রাজার অবশ্য দাবি, বোনকে কটূক্তির প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে ছুরি মারা হয়েছে। গুরুতর জখম রাজা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ সব খতিয়ে দেখছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যার বিরুদ্ধে ছুরির মারার অভিযোগ উঠেছে সেই শেখ মোজাম সম্পর্কে রাজার পিসির ছেলে। বাঙালপুরে পাশাপাশি বাড়িতে থাকে দুই পরিবার। পিসি মর্জিনা বেগমের ছেলে শেখ মোজাম কাজের সূত্রে রাঁচিতে থাকে। একটি বাড়ি তৈরিকে কেন্দ্র করে মাস ছয়েক ধরে রাজা ও মোজামের পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। গত ৮ সেপ্টেম্বরও উঠোনে কাপড় শুকানো নিয়ে দুই পরিবারে ঝামেলা হয়। মর্জিনার অভিযোগ, সেদিন তাঁকে মারধর করে রাজার পরিবার। এ দিন রাজা অভিযোগ করেন, ‘‘গত রবিবার বিকেলে আমার বোন টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় মোজাম ও তার ভাই তাকে খারাপ কথা বলে। বাড়ি ফিরে বোন আমাদের সব জানায়। সোমবার সকালে মোজামের সঙ্গে দেখা হলে কেন সে বোনকে খারাপ কথা বলেছে জানতে চাই। তখনই সে ছুরি বের করে আমার পেটে ঢুকিয়ে দেয়।’’
যদিও মর্জিনার দাবি, তাঁর ছেলে মোজামের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সে রাঁচিতেই রয়েছে। বাড়িই ফেরেনি। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন আর এক ছেলে শেখ মোরসালেম রাজার সঙ্গে দেখা করে কেন সে বৃহস্পতিবার আমাকে মারধর করেছে জানতে চেয়েছিল। তখন রাজাই তার উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমি ছুটে গেলে রাজার লোকজন মেরে আমার মুখ ফাটিয়ে দেয়।’’ আহত মর্জিনা বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর দাবি, তাঁদের পরিবারের কেউ রাজাকে ছুরি মারেনি। রাজাই বরং সব সময় ছুরি নিয়ে ঘুরত। এ দিন দু’তরফের হাতাহাতিতে নিজের কাছে রাখা ছুরিতেই আঘাত লাগে রাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy