Advertisement
E-Paper

নিম্নবিত্তদের নিয়মিত খাবার জোগানোই বড় চ্যালেঞ্জ পুরসভার

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশএ দাঁড়াতে রিষড়া পুর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা খোলা একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৩
পদক্ষেপ: দূরত্ব বিধি মেনে চলছে খাবার বিলি। —নিজস্ব চিত্র

পদক্ষেপ: দূরত্ব বিধি মেনে চলছে খাবার বিলি। —নিজস্ব চিত্র

রাজ্যে ২১ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের জেরে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষদের। রিষড়া পুরসভার মোট ২৩টি ওয়ার্ডে অন্তত দেড় লক্ষ মানুষের বাস। তার মধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ডের বেশ কিছু বস্তিতে বাস নিম্ন আয়ের মানুষজনের। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি সেই সমব মানুষগুলোর পােশ দাঁড়ানোও বড় চ্যালেঞ্জ এই পুরসভার কাছে।

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশএ দাঁড়াতে রিষড়া পুর কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা খোলা একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। পুর কর্তৃপক্ষ সেই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমেই এলাকাবাসীর কাছে তাঁদের সার্বিক প্রয়োজনীয় জিনিসের কথা জানতে পারছেন। পুরকর্মীরা তারপর প্রয়োজন মাফিক জিনিসগুলো পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি।

রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা ওইসব পরিবারের জন্য দু’বেলা কমিউনিটি কিচেন চালু করেছি। এক বেলা ভাত এবং এক বেলা খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেককে। আমাদের লক্ষ্য, এলাকার কেউ যেন পেটে খিদে নিয়ে ঘুমোতে না যান রাতে। আমরা প্রতিটি কাউন্সিলরকে তাঁর এলাকায় কড়া নজর রাখতে বলেছি। যাঁদেরই কোনও সমস্যা রয়েছে বাড়িতে, সোজা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। যতদিন এই পরিস্থিতি চলবে, আমরা খাওয়াব মানুষকে।’’ এরই পাশাপাশি পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কিছুদিন অন্তর প্যাকেটবন্দি করে চাল, আলু, আটা, তেল, সয়াবিন আর বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি মানুষজন যাতে সুস্থ থাকেন, সেই জন্য বাইরে বের হলেই পুর এলাকায় মাস্ক পরা এখন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার আগে এলাকার প্রতিটি বাড়িতে মাস্ক এবং সাবান বিলি করা হয়েছে। কোথাও কেউ অসুস্থ আছে কি না, তা দেখতে পুরসভার আশা কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে। মানুষ এখন আগের থেকে অনেকটাই সচেতন। তাঁরাও খবর দিচ্ছেন।

পুরসভার পরিচালনায় ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। জ্বর হলেই সেখানে যাচ্ছেন সকলে। পাশাপাশি কেউ তাঁদের প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেলে, তাও দেওয়া হচ্ছে পুরসভার তরফে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পুর এলাকা যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সেই জন্য নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই করা হচ্ছে। বাড়ি গিয়ে ময়লা সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, বাজার ধোওয়াও চলছে।

সোমবার থেকে মিড-ডে মিলের চাল, আলু দেওয়া চালু হয়েছে এলাকার স্কুলগুলিতে। তাই প্রতিটি স্কুলে নিয়ম-মাফিক কীটনাশক ছড়ানো হয়েছে। পুর এলাকায় ঢোকা বা বেরনোর ক্ষেত্রে থার্মাল গান দিয়ে প্রতিটি মানুষকে চেক করা হচ্ছে। কাউকে সন্দেহজনক দেখলেই তাঁকে পাঠানো হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষায়।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy