Advertisement
E-Paper

কোর্টের নির্দেশে শুরু তদন্ত

আদালতের নির্দেশের পরেই এক বধূকে বিবস্ত্র করে মারধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার। অভিযুক্তরা হলেন বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বিলেশ্বর পাঁজা এবং তাঁর তিন সাগরেদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪২

আদালতের নির্দেশের পরেই এক বধূকে বিবস্ত্র করে মারধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার। অভিযুক্তরা হলেন বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বিলেশ্বর পাঁজা এবং তাঁর তিন সাগরেদ।

উলুবেড়িয়া ২ ব্লক এলাকার বাসিন্দা ওই বধূর অভিযোগ ছিল, পুরনো একটি বিবাদের জেরে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিলেশ্বর পাঁজা এবং তাঁর তিন সাগরেদ শেখ আসাদুল রহমান, কাজি মান্নান ও রাজেন্দ্রনাথ সাঁতরা তাঁর বাড়িতে আসেন। ওই সময় বধূর স্বামী ঘরে ছিলেন না। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে দরজা খুলিয়ে নেন বিলেশ্বররা। ঘরে ঢুকে বিলেশ্বর প্রথমে তাঁর চুলের মুঠি ধরে গালে চড় মারেন। পরে তাঁর সাগরেদরা তাঁকে মারধর করেন। বিবস্ত্র করে দেন।

তাঁর আরও অভিযোগ, বিলেশ্বরের সাগরেদরা ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। চিৎকারে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে এলে তাঁরা পালিয়ে যান। তবে চলে যাওয়ার সময় তাঁরা হুমকি দেন, ‘থানা-পুলিশ করলে পুড়িয়ে মারা হবে।’ বিচারকের কাছে লিখিত আর্জিতে ওই বধূ আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পরের দিনই তিনি থানায় গেলেও তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। তিনি তখন উলুবেড়িয়ার এসডিপিও এবং পুলিশ সুপারের (হাওড়া গ্রামীণ) কাছে ডাকযোগে অভিযোগপত্র পাঠান। তাতেও পুলিশ সাড়া দেয়নি। তাই নিরুপায় হয়েই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূ ৬ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই দিনই আদালত উলুবেড়িয়া থানাকে নির্দেশ দেয়, বধূর আবেদনটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বিলশ্বর-সহ চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিলেশ্বর বলেন, ‘‘ওই মহিলার স্বামী গত ৩১ জানুয়ারি মদ খেয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমাকে খুন করার হুমকি দেয়। আমি থানায় অভিযোগ জানানোর পরে তাকে পুলিশ ধরে। সেই ঘটনারই বদলা নিতে ওই বধূ মিথ্যা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’ থানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ওই বধূ পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জানাতে আসেননি। সরাসরি তিনি আদালতে চলে গিয়েছেন।

এর পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান ওই বধূ।

Investigation Court Order
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy