গত বছরের জুলাইতে বাপের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন কোন্নগরের শুভলগ্না চক্রবর্তী। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়ে স্ত্রী ডিভোর্সের মামলা করায় তা মানতে পারেনি শুভলগ্নার স্বামী, কোন্নগরের করাতিপাড়ার বাসিন্দা শেখ সুলতান আলি। সেই খুনের ঘটনায় বুধবার সুলতানকে দোষী সাব্যস্ত করল শ্রীরামপুর আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার ওই আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মহানন্দ দাস সাজা ঘোষণা করবেন।
মামলার সরকারি আইনজীবী অরুণকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘‘এক বছর চার মাসের মধ্যেই মামলার নিষ্পত্তি হল। অত্যন্ত নৃশংস ভাবে ওই যুবতীকে খুন করেছিল আসামি। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারক নিশ্চয়ই উপযুক্ত সাজাই দেবেন।’’
শুভলগ্না কোন্নগর অলিম্পিক মাঠের কাছে শ্রীনাথ ঘোষ সরণিতে বাবা তুষার চক্রবর্তী এবং মা শুভ্রাদেবীর সঙ্গে থাকতেন। পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে শুভলগ্নার সঙ্গে সুলতানের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। যদিও, দু’জনে নিজেদের বাড়িতেই থাকতেন। উচ্চশিক্ষিতা শুভলগ্না ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। সুলতান অবশ্য শুভলগ্নাকে ছাড়তে চাননি। এ নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে চক্রবর্তী পরিবারের গোলমাল বাধে। থানা-পুলিশ হয়।