হাওড়া পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যে আসলে নিধিরাম সর্দার, বৈশাখের প্রথম বড় ঝড়ই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড শহরকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেও আগের চেহারায় ফেরাতে পারলেন না পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। উপড়ে যাওয়া গাছ কাটতে বৈদ্যুতিক করাত-সহ আধুনিক যন্ত্রপাতির বদলে দা, কাটারি, হাতকরাত ও দড়ি নিয়েই মঙ্গলবার রাতে কাজে নেমেছিলেন তাঁরা। ফলে সেই কাজ শেষ করা যায়নি বুধবার রাতেও। এ দিনও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় পড়ে ছিল ভেঙে পড়া বহু গাছ। মেয়র রথীন চক্রবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করণীয় ঠিক করতে পারিষদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে ঠিক হয়, বিপর্যয়
মোকাবিলা দফতরের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে যন্ত্রপাতি কেনা হবে এবং পুরকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে হাওড়া সিটি পুলিশ।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে হাওড়া ও বালি মিলিয়ে প্রায় তিনশো গাছ পড়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় ধসে পড়েছে পাঁচিল। বেনারস রোডের বেলগাছিয়ায় একটি বড় গাছ ভেঙে পড়লে পাঁচটি বাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে একটি বাড়ি পুরো মাটিতে মিশে গিয়েছে। ওই ঘটনায় গৃহকর্তা সুনীল পাঠক ও তাঁর স্ত্রী শর্মিলা পাঠক গুরুতর আহত। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শর্মিলার মাথায় আটটি সেলাই পড়েছে। সুনীলবাবুর ভাই অনিল ঠাকুর বলেন, ‘‘কাল রাতে আমি বাড়ি ছিলাম না। দাদা-বৌদি ছিলেন। ওঁদের উপরে গাছটা পড়ে। তার পরে পুরসভাকে বারবার ফোন করা হলেও গাছ কাটার লোক আসেনি।’’