Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভাবাদিঘির কথা জানাব রেলমন্ত্রীকে, দিলীপ

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাবাদিঘি গ্রামে যান দিলীপবাবু। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দিঘি ও প্রস্তাবিত রেলপথ ঘুরে তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত।

উপহার: ছবি: দীপঙ্কর দে

উপহার: ছবি: দীপঙ্কর দে

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০১:৫১
Share: Save:

ভাবাদিঘি বাঁচানোর আন্দোলনকে রেলমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাবাদিঘি গ্রামে যান দিলীপবাবু। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দিঘি ও প্রস্তাবিত রেলপথ ঘুরে তিনি বলেন, “গ্রামবাসীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। আমরা চাইছি দিঘিও বাঁচুক। রেল লাইনও হোক। পুরো বিষয়টি রেলমন্ত্রীকে জানাবো।

বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেল সংযোগের ক্ষেত্রে গোঘাটের ওই ভাবাদিঘি নিয়ে জট কাটছে না। ওই দিঘির উত্তর দিকের একাংশ বুজিয়ে রেললাইন পাততে চায় রেল। কিন্তু এলাকার লোকজন চান, বুজিয়ে নয়, দিঘির উত্তর দিকের জমি দিয়ে কেললাইন পাতা হোক। এ নিয়েই টানাপড়েনে থমকে রয়েছে কাজ। আন্দোলনে নেমেছেন গ্রামবাসী।

এ দিন ভাবাদিঘির বাসিন্দাদের একাংশ দিলীপবাবুকে জানান, রেলপথ হোক, কিন্তু দিঘি বাঁচিয়ে। তাঁরা দাবি করেন, দিঘি ছাড়া গ্রামে দ্বিতীয় কোনও জলাশয় নেই। গ্রামের মানুষকে ওই দিঘির জলে মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এক বছর আগে পর্যন্ত তৃণমূল পাশে থাকলেও এখন তারা আমাদের দিঘি ছাড়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। প্রস্তাবিত রেলপথ পরিদর্শনের পর দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘ইচ্ছাকৃতভাবে দিঘির উপর দিয়ে লাইনটাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশে এত জমি রয়েছে, চওড়া পাড় রয়েছে। কারও বিশেষ স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ করা হচ্ছে। দিঘিটা বরং সংস্কার করা উচিত।” মুখ্যমন্ত্রীর বিকল্প দিঘির প্রস্তাব নিয়ে দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘দিঘিটাকে তো আর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।”

রাজ্য বিজেপি সভাপতির ভাবাদিঘি সফর নিয়ে ‘দিঘি বাঁচাও কমিটি’র নেতা ভাস্কর দাস বলেন, “আমাদের দাবির সঙ্গে একমত হয়ে বিষয়টি রেলমন্ত্রীকে জানাবেন বলেছেন দিলীপবাবু। এখন বাস্তবে কতখানি কী হয় সেটাই দেখার।” দিলীপবাবু ভাবাদিঘির মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন দাবি করছেন দাবি করে গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের রেলপথটি লক্ষ লক্ষ মানুষেরও স্বপ্ন। এটি বাস্তবায়িত হবেই।”

এ দিন সন্ধ্যায় হুগলির বেগমপুরেও সভা করেন দিলীপবাবু। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, হুগলি শিল্পাঞ্চল জুড়ে দুষ্কৃতী-রাজ চলছে। হুগলির প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর চুঁচুড়ার বিধায়ককে কাটমানি খেতে না বলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘সর্বত্র অরাজকতা চলছে।’’ স্বাস্থ্য পরিষেবা ও কিষাণ মান্ডি নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। সভায় তাঁর হাতে প্রতীকী তলোয়ার তুলে দেন বিজেপি কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE