স্বাস্থ্য-বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই নার্সিংহোমের কর্তাদের আশঙ্কা ছিল, জুলুমবাজি বাড়বে। এক রোগীর মৃত্যুর পর আরামবাগের চিকিৎসকদের অভিযোগ, অতি সক্রিয় হয়ে পুলিশ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করেছে। এর প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার আরামবাগের কোনও চিকিৎসক চেম্বার খুলবেন না।
আইএমএ-র আরামবাগ শাখার সম্পাদক নিমাই কুণ্ডু বলেন, ‘‘কোনও তদন্ত না করেই রোগীর বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই পরিবারের হয়ে আপসের জন্য ১২ লক্ষ টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছে।’’ তিনি জানান আজ চেম্বার বন্ধ থাকলেও সব চিকিৎসকই আইএমএ ভবন থেকে বিনা পয়সায় রোগী দেখবেন।’’
আইএমএ-র অভিযোগ উড়িয়ে আরামবাগ থানার দাবি, মৃতের পরিবার যে চারটি ধারায় অভিযোগ করেন, তার মধ্যেই অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারাটিও ছিল। তদন্তে যদি ওই ধারা ন্যায্য নয় বলে জানা যায়, তা বাতিল হবে। একই সঙ্গে এসডিপিও হরেকৃষ্ণ পাইয়ের বক্তব্যে, ‘‘টাকা চেয়ে চাপ দেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’
গত শুক্রবার বুকে ব্যথা নিয়ে আরামবাগের কোর্ট রোডের এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন বিষ্ণুপদ রায় (৫২)। ঘণ্টাতিনেক পরে তিনি মারা যান। এর পর নার্সিংহোমে ভাঙচুর ও পথ অবরোধ হয়। মৃতের ভাইপো পরিতোষ রায় থানায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় নার্সিংহোম।
আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেনের মতে, কোনও নতুন আইন তৈরি হলেই কিছু অপব্যবহার হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ কেন মধ্যস্থতা করবে? আমরা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যে কোনও ভাবেই হোক না কেন, সরকার এটা রুখবে।’’