এমন মার, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হল না। ছেলের মারে প্রাণ হারালেন বাবা! মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ব্যাঁটরার চ্যাটার্জিপাড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম প্রদীপ অধিকারী। তিনি স্ত্রী গোপা অধিকারী, ছেলে কৌশিক ও বউমা লাভলির সঙ্গে ৩৭ ১/১ চ্যাটার্জিপাড়া লেনের বাড়িতে থাকতেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ছেলে-বউমার সঙ্গে একেবারেই বনিবনা ছিল না প্রদীপবাবুর। সম্পত্তির অর্ধাংশ এর আগে বিক্রি করে দেওয়ায় কৌশিক প্রায় প্রত্যেক দিন বাকিটা তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিত প্রদীপবাবুকে। গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা নিয়ে অধিকারী পরিবারে গণ্ডগোল ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
চ্যাটার্জিপাড়া লেনের সেই বাড়ি।
মাঝে মাঝেই রেগে গিয়ে কৌশিক আর লাভলি প্রদীপবাবুর গায়ে হাত তুলত। মঙ্গলবার দুপুরে সেটাই চরম আকার ধারণ করে। কৌশিক আর লাভলি দু’ জনেই প্রচণ্ড মারধর করে প্রদীপবাবুকে। মারের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রদীপবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রদীপবাবুর মৃত্যু হয়।
গোপা অধিকারী
ঘটনায় গোপা দেবী মঙ্গলবারেই ব্যাঁটরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছেলে-বউমার নামে। গোপা দেবী বলেন, “দেড়-দুই বছর ধরে ওরা আমাদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে। সব সময় কেবল একটাই দাবি, সম্পত্তি আমাদের নামে লিখে দাও!”
গোপা দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাঁটরা পুলিশ কৌশিক আর লাভলিকে বুধবার অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে। এ দিন ওদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হবে। প্রদীপবাবুর মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।