Advertisement
E-Paper

বসে গেল সেতুতে ওঠার রাস্তা, দুর্ভোগ

মহকুমা পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার (নির্মাণ-১) নিরঞ্জন ভড় জানান, ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো সেতুটি সম্প্রতি আমূল সংস্কার করা হলেও অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাকের ধকল সহ্য করতে পারছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০১:৩২
চলছে কাজ: যানজটে আটকে গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র

চলছে কাজ: যানজটে আটকে গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র

ন’মাস আগে আমূল সংস্কার হয়েছিল। তবু ক’দিন আগে এক দিকের ‘অ্যাপ্রোচ স্ল্যাব’ বসে গিয়েছিল আরামবাগের রামকৃষ্ণ সেতুর। আর তা সংস্কার শুরু হতেই শুক্রবার থেকে যানজটে হাঁসফাঁস করছে শহর। অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ না হলে দ্বারকেশ্বর নদের উপর পল্লিশ্রীতে ওই সেতুটি যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পূর্ত দফতর।

মহকুমা পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার (নির্মাণ-১) নিরঞ্জন ভড় জানান, ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো সেতুটি সম্প্রতি আমূল সংস্কার করা হলেও অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাকের ধকল সহ্য করতে পারছে না। বসে যাওয়া ‘অ্যাপ্রোচ স্ল্যাব’ সংস্কারের কাজ শুরু হলেও অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ না হলে সেতুটি যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। প্রশাসনকে এ নিয়ে সতর্কও করা হয়েছে। স্ল্যাব সংস্কারের জন্য অন্তত ১৫ দিন লাগবে। ফলে, এই ক’দিন শহরের যানজট থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ‘‘অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক রুখতে পুলিশ এবং মোটরযান দফতরকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।’’

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রেখে ৩২৫ মিটার লম্বা এবং সাত মিটার চওড়া সেতুটি সংস্কারের কাজ হয়। পরে আরও মাসখানেক রাতে কাজ চালিয়ে সেতুটি সংস্কার করা হয়। সেতুটি আরও অন্তত ১০ বছর অক্ষত রাখতে তখনই অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তা বন্ধ হয়নি। তারই জেরে ফের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতু। ফের একটু একটু ফাঁকা হতে শুরু করেছে সেতুর জোড়গুলি। ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ভারী ট্রাক যায় সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে ছ’চাকার ট্রাকে যেখানে ৯ টন মাল যাওয়ার কথা, সেখানে ৪০-৫৫ টন মাল যাচ্ছে। সব ধরনের মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার গাড়ির চাপ সইতে হয় সেতুটিকে।

Flyover Traffic Approach Slab PWD
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy