থমকে: বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। ছবি: তাপস ঘোষ
ভাটপাড়ায় অশান্তির জেরে সোমবার ব্যাহত হল উত্তর ২৪ পরগনার সঙ্গে হুগলির বিভিন্ন ঘাটের ফেরি চলাচল।
রবিবার রাজনৈতিক অশান্তিতে ব্যরাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ জখম হয়েছিলেন। প্রতিবাদে সোমবার বিজেপি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বন্ধের ডাক দিয়েছিল। এ দিনও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এর ফলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় গঙ্গার সমস্ত ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দু’পাড়েই বহু যাত্রী বিপাকে পড়েন। চুঁচুড়া-নৈহাটি, চন্দননগর-জগদ্দল, তেলেনিপাড়া-শ্যামনগর, বাবুঘাট-গাড়ুলিয়া, গোন্দলপাড়া-ঢ্যাবঢেবি, শেওড়াফুলি-ব্যারাকপুর, শ্রীরামপুর-ব্যারাকপুর-সহ বিভিন্ন ঘাটে এই পরিস্থিতি হয়। সপ্তাহের প্রথম দিন কাজে বেরিয়ে অনেককেই ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। একই অবস্থা হয় স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদেরও। ঘুরপথে যাওয়ায় এক দিকে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়, সময়ও লাগে অনেক বেশি।
চন্দননগরের বাসিন্দা, চটকল শ্রমিক মহেশ চৌধুরী বলেন, ‘‘ভাটপাড়া-জগদ্দলে যে ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে, তাতে কর্মস্থলে পৌঁছনো আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘাট বন্ধ থাকায় সপ্তাহের প্রথম দিনই কাজে যেতে পারলাম না। রাজনৈতিক অশান্তির জেরে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন।’’ এক লঞ্চকর্মী বলেন, ‘‘সকালে জগদ্দলে যাওয়ার পরেই কিছু লোক ঘাটের দিকে ধেয়ে আসে। চিৎকার করে বলে, আর যেন যাত্রী পারাপার না করি। তা হলে হামলা হবে। বনধ্ ডাকায় কোনও গাড়ি বা ফেরি চলবে না। এর পরেই আমরা ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিই।’’ ব্যারাকপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অনুষ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে, ‘‘সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য শেওড়াফুলি ঘাটে গিয়ে শুনলাম, ফেরি চলাচল বন্ধ। অগত্যা বাড়ি ফিরে যেতে হল। একটা দরকারি ক্লাস ছিল। সেটা আর হল না।’’ বেলা গড়াতে অবশ্য কিছু ঘাটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy