উদ্বোধনী মঞ্চ। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল ডানকুনি শিল্পাঞ্চলের। মঙ্গলবার থেকে চালু হল ডানকুনি দমকলকেন্দ্র।
এ দিন ডানকুনি হাউজিং-এর কাছে দোতলা ওই ভবনের উদ্বোধন করেন দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। দমকল বিভাগ সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্র তৈরি করতে প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আপাতত একটি গাড়ি থাকবে। দু’জন অফিসার এবং প্রায় ২০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। শীঘ্রই আরও একটি গাড়ি আসবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমকলের ডিজি জগমোহন, হুগলির জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল, পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন, স্থানীয় বিধায়ক স্বাতী খোন্দকার, পুরপ্রধান হাসিনা শবনম প্রমুখ। রাজ্য দমকলের এক অফিসার জানান, ধীরে ধীরে এই কেন্দ্রের পরিকাঠামো বাড়ানো হবে। কেন্দ্রটি হওয়ায় শ্রীরামপুর বা উত্তরপাড়ার উপর চাপ কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
ডানকুনি ও চণ্ডীতলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শিল্পাঞ্চল। রয়েছে কোল কমপ্লেক্স। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি রোড ও অহল্যাবাই রোডের ধারে রয়েছে প্লাইউড, প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন ধরনের বহু কারখানা। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় প্রায়ই কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কিন্তু আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কিছুই ছিল না এখানে। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এখানে। শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া বা কোন্নগর থেকে দমকলের গাড়ি পৌঁছনোর আগেই আগুন বড় চেহারা নেয়। প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক এই শিল্পাঞ্চলে কাজ করেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠছিল। বাম আমল থেকেই বারে বারে ডানকুনিতে দমকলকেন্দ্রের দাবি উঠেছে।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা সফরে এসে সরকারি জমিতে ওই দমকল কেন্দ্রের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের বক্তব্য, এ বার আগুনের মোকাবিলা করা অনেক সহজ হবে। দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, ‘‘শুধু আগুন নয়, আপৎকালীন যে কোনও পরিস্থিতিতে দমকলকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফলে শুধু কল-কারখানাই নয়, বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এতে উপকৃত হবেন।’’ দমকলমন্ত্রী জানান, শীঘ্রই এই জেলার পাণ্ডুয়াতেও দমকলকেন্দ্র চালু হবে। উত্তরপাড়াতেও নব কলেবরে দমকেলকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হবে কিছু দিনের মধ্যেই। উল্লেখ্য, পান্ডুয়ায় নতুন দমকলের ভবন উদ্বোধনের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy