জল পেরিয়ে মন্দিরে ঢুকছেন ভক্তরা।—নিজস্ব চিত্র।
গোটা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গেই বানভাসি শৈবতীর্থ তারকেশ্বরও। খাল ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছে মন্দিরের চাতালেও।
শ্রাবণ মাস জুড়ে দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত শিবের মাথায় জল ঢালতে তারকেশ্বরে আসেন। এ বার টানা বৃষ্টিতে পূণ্যার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন। তারকেশ্বর ব্লকের বহু এলাকা এখন জলমগ্ন। পুর-এলাকার প্রায় সবকটি ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে। স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বৈদ্যপুর চৌমাথা, বিডিও দফতর বা পুরভবন চত্বর— সর্বত্রই জল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মন্দির। মন্দির চত্বরে জল থৈ থৈ করছে। দুধপুকুর টইটম্বুর। মন্দিরের আশপাশের রাস্তাতেও জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ডাকাতিয়া এবং রণের খাল উপচেই ওই পরিস্থিতি। রাস্তায় জল জমে থাকায় কাঁড়ারিয়া বা দশঘড়া থেকে তারকেশ্বরে ঢোকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার তারকেশ্বরে লোক তেমন জমেনি।
তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত অবশ্য বলেন, ‘‘মন্দিরের চাতালে জল ঢুকেছে ঠিকই, কিন্তু সে জন্য জল ঢালতে পূণ্যার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না। জল নামলে মন্দির চত্বেরর বাইরের এলাকাতেও সমস্যা থাকবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন এবং পুরসভা তৈরি।’’
সোমবার ‘বাবার বার’ হিসেবে পরিচিত। শ্রাবণী মেলা চলাকালীন প্রতি রবি এবং সোমবার তারকেশ্বরের রাস্তায় কার্যত তিল ধারণের জায়গা থাকে না পূণ্যার্থীদের চাপে। এ বার কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির কারণে সেই ভিড় অনেকটাই কম। প্রশাসন সূত্রের খবর, শ্রাবণী মেলার সময় রবিবার ৪-৫ লক্ষ মানুষ আসেন। কিন্তু এ দিন মেরেকেটে এক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল।
তবে পুরকর্তাদের বক্তব্য, মাসের প্রথম দিকে এমনিতেই লোক কিছুটা হলেও কম হয়। দুর্যোগ কাটলেই ফের কাতারে-কাতারে মানুষ আসবেন বলে তাঁদের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy