Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
River Erosion

সাত মাসের মধ্যেই শ্মশানের গঙ্গাপ্রাপ্তি

নদীর পাড়ের মাটি ক্ষয়ের জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে।ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘বৈতরণী’ প্রকল্পে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকায় শ্মশানটি তৈরি করেছিল পূর্ত দফতর। সাড়ে ৩০০ বর্গফুট এলাকার উপরে শ্মশানের মূল কাঠামোটি ছিল।

সাঁকরাইলে ভেঙে যাওয়া শ্মশান। ছবি: সুব্রত জানা

সাঁকরাইলে ভেঙে যাওয়া শ্মশান। ছবি: সুব্রত জানা

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৩৩
Share: Save:

মাত্র সাত মাস আগে কংক্রিটের শ্মশান তৈরি হয়েছিল সাঁকরাইলের সারেঙ্গা পঞ্চায়েতের হিরাপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায়। রবিবার সকালে শ্মশানটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গঙ্গায়। ঠিক কী কারণে শ্মশানটি ভেঙে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাঁকরাইলের বিডিও সন্দীপ মিশ্র। তবে, প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, নদীর পাড়ের মাটি ক্ষয়ের জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে।ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘বৈতরণী’ প্রকল্পে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকায় শ্মশানটি তৈরি করেছিল পূর্ত দফতর। সাড়ে ৩০০ বর্গফুট এলাকার উপরে শ্মশানের মূল কাঠামোটি ছিল। নদীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় গার্ডওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনাও করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু তার আগেই শ্মশানটি ভেঙে পড়ে। এ দিন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান সেচ দফতর, পূর্ত দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘শ্মশানটি মজবুত করেই বানানো হয়েছিল। ভরা কটালে নদীতে জলের চাপ রয়েছে। ফলে নীচের দিকে মাটি ক্ষয়ে গিয়েছে। নদীর পাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছিল।’’ হাওড়া জেলা পরিষদের ওই এলাকার সদস্য প্রিয়া পাল বলেন, ‘‘এলাকাবাসীরদাবি মেনেই শ্মশানটি তৈরি করা হয়েছিল। মাটি ক্ষয়ের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’তবে, তৈরির সাত মাসের মধ্যেই শ্মশান ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর একাংশ এবং বিজেপি নেতারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনুপম মল্লিকের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাওয়ায় নিম্নমানের ইমারতি দ্রব্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল শ্মশানটি। তাই ভেঙে গিয়েছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

sankrail Funeral
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE