সাঁকরাইলে ভেঙে যাওয়া শ্মশান। ছবি: সুব্রত জানা
মাত্র সাত মাস আগে কংক্রিটের শ্মশান তৈরি হয়েছিল সাঁকরাইলের সারেঙ্গা পঞ্চায়েতের হিরাপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায়। রবিবার সকালে শ্মশানটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গঙ্গায়। ঠিক কী কারণে শ্মশানটি ভেঙে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাঁকরাইলের বিডিও সন্দীপ মিশ্র। তবে, প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, নদীর পাড়ের মাটি ক্ষয়ের জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে।ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘বৈতরণী’ প্রকল্পে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকায় শ্মশানটি তৈরি করেছিল পূর্ত দফতর। সাড়ে ৩০০ বর্গফুট এলাকার উপরে শ্মশানের মূল কাঠামোটি ছিল। নদীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় গার্ডওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনাও করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু তার আগেই শ্মশানটি ভেঙে পড়ে। এ দিন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান সেচ দফতর, পূর্ত দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘শ্মশানটি মজবুত করেই বানানো হয়েছিল। ভরা কটালে নদীতে জলের চাপ রয়েছে। ফলে নীচের দিকে মাটি ক্ষয়ে গিয়েছে। নদীর পাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছিল।’’ হাওড়া জেলা পরিষদের ওই এলাকার সদস্য প্রিয়া পাল বলেন, ‘‘এলাকাবাসীরদাবি মেনেই শ্মশানটি তৈরি করা হয়েছিল। মাটি ক্ষয়ের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’তবে, তৈরির সাত মাসের মধ্যেই শ্মশান ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর একাংশ এবং বিজেপি নেতারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনুপম মল্লিকের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাওয়ায় নিম্নমানের ইমারতি দ্রব্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল শ্মশানটি। তাই ভেঙে গিয়েছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy