Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

দেদার বিকোচ্ছে রঙিন জল

গরমের শুরুতেই হুগলির পান্ডুয়ার নানা স্কুলের সামনে দেদার বিকোচ্ছে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা রঙের বরফ-জল। অভিযোগ, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নানা উপাদান দিয়েই তৈরি হয় এই জল। এই জল খেলে শরীরে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

বিষাক্ত:  রং মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে বরফ জল। নিজস্ব চিত্র

বিষাক্ত: রং মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে বরফ জল। নিজস্ব চিত্র

সুশান্ত সরকার
পাণ্ডুয়া শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৯
Share: Save:

গরমের শুরুতেই হুগলির পান্ডুয়ার নানা স্কুলের সামনে দেদার বিকোচ্ছে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা রঙের বরফ-জল। অভিযোগ, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নানা উপাদান দিয়েই তৈরি হয় এই জল। এই জল খেলে শরীরে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

প্রায় প্রতি বছর গরমকালে বিভিন্ন স্কুলের গেটে বরফ-জল বিক্রেতারা হাজির হন। স্কুল ছাড়াও হাট-বাজার এবং পাড়ার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে এই জল বিক্রি করেন তাঁরা। তেষ্টা মেটাতে অনেকে সেই জল কিনে খান। বরফ জল বিক্রেতারা জানান, স্কুলের গেটে দাঁড়ালে চারশো-পাঁচশো টাকার বিক্রি হয়। স্থানীয় বরফ-জল বিক্রেতা সুরেশ প্রধান বলেন, ‘‘বছর কয়েক ধরেই গরমকালে স্কুল ছুটির পরে পান্ডুয়ার রাধারানি স্কুলের সামনে জল বিক্রি করি। অন্যান্য স্কুলের সামনেও এই জল বিক্রি হয়। আমাকে কেউ স্কুলের সামনে রঙিন জল বিক্রি করতে বারণ করেনি।’’ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য সচেতন রয়েছেন জামগ্রাম জনার্দন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্কুলের সামনে রঙিন জল বিক্রি করতে দিই না। গত বছর একজন এসেছিল। আমরা তাঁকে বারণ করে দিয়েছিলাম।’’

পান্ডুয়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শঙ্করনারায়ণ সরকার জানান, বরফ গোলা জলে সাধারণত সিন্থেটিকের নানা রং মেশানো হয়। এ ছাড়াও সিসা, সোডিয়াম ক্লোরাইডের মতো উপকরণ মেশানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘ওই জল খেলে জ্বর, ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস-সহ নানা রোগ হতে পারে। এর জন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE