Advertisement
E-Paper

চমকেও ক্ষোভ মিটছে না

অবস্থার বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামলাতে শুধুমাত্র বদল হয়েছে যন্ত্রের। আগে বৃষ্টি হলেই দোকাল দিয়ে নালা পরিষ্কার করতে মেনে পড়ত পুরকর্তৃপক্ষ। এ বার ওই একই কাজের জন্য যন্ত্র আনা হয়েছে। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল আরামবাগে। নিকাশি নালা পরিষ্কার করার নেতৃত্বে ছিলেন পুরপ্রধান স্বপন নন্দী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৪
চলছে যন্ত্র দিয়ে নিকাশি নালা সাফাই।— নিজস্ব চিত্র।

চলছে যন্ত্র দিয়ে নিকাশি নালা সাফাই।— নিজস্ব চিত্র।

অবস্থার বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামলাতে শুধুমাত্র বদল হয়েছে যন্ত্রের। আগে বৃষ্টি হলেই দোকাল দিয়ে নালা পরিষ্কার করতে মেনে পড়ত পুরকর্তৃপক্ষ। এ বার ওই একই কাজের জন্য যন্ত্র আনা হয়েছে। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল আরামবাগে। নিকাশি নালা পরিষ্কার করার নেতৃত্বে ছিলেন পুরপ্রধান স্বপন নন্দী।

সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে আরামবাগ শহর। শহরের জমা জল সরাতে তড়িঘড়ি শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। নিকাশি নালা পরিষ্কারে যন্ত্রের ব্যবহার শহরের মানুষকে বিশেষ চমক দিতে পারিনি। পুরবাসীদের অভিয‌োগ, পুরপ্রধানের এই চমকে কাজের কাজ কিছু হয়নি। অতীতের মতোই পুরসভার তৈরি অস্থায়ী নিকাশি নালার শেষ প্রান্ত কোথায় গিয়ে পড়বে তার দিশা নেই। এক ওয়ার্ড থেকে জমা জল বের করে আর এক ওয়ার্ডের সামনে সমতলেই শেষ হয়ে যাচ্ছে নালা। শহরের সমস্ত জমা জল বের হওয়ার কোনও পথ নেই।’’ সমস্যার কথা স্বীকার করে স্বপনবাবু বলেন, ‘‘অপরিকল্পিত শহরটির দীর্ঘদিনের এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালার কাজ শুরু করেছি আমরা। তিনটি দফার কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি এক দফা কাজটি শেষ হলেই শহরের সমস্ত জমা জল কানা দ্বারকেশ্বর নদীতে ফেলা সম্ভব হবে।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ শহরে আধ ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হলেই পুরসভার ১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন হয়। উপযুক্ত নিকাশি নালা না থাকায় সেই জল বের হতে প্রায় ২-৫ দিন সময় লাগে। দীর্ঘদিনের এই নিকাশি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আরামবাগ শহরে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালার কাজ শুরু হয়েছে গত ২০১৪ সালের ১২ জুন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলা বাজার থেকে আরামবাগ রেল কালভার্ট পর্যন্ত ২০৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের নালা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সে সময় বরাদ্দ ধরা হয় ৩ কোটি ৭২ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৭৭ টাকা। নালাটি ১০ ফুট গভীর এবং ৫ ফুট চওড়া করা হবে। আরামবাগ রেলপথ সংলগ্ন ১৯, ১৭ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে বয়ে যাওয়া কানাদ্বারকেশ্বর নদীতে ফেলা হবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নিকাশি নালা এনে ওই ভূগর্ভস্থ যুক্ত করা হবে। কাজটি আপাতত বসন্তপুর মোড় পর্যন্ত হয়েছে।

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজটিতে কেন এত দেরি হচ্ছে? পুরপ্রধান বলেন, ‘‘কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’’

drainage condition rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy