বিয়েতে পণ দেওয়া হলেও মন ভরেনি শ্বশুরবাড়ির। আরও পণের দাবি জানিয়েছিল তারা। তা দিতে অপারগ বলে জানিয়েছিল মেয়ের বাড়ির লোকজন। সেই অপরাধে পুত্রবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় মৃত বধূর বাবা হরিপাল থানায় মেয়ের উপর অত্যাচার এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বধূর স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, দেওর, ননদ-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় মামলা। মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বিমলকান্তি বেরা বাকি অভিযুক্তদের মুক্তি দিলেও শাশুড়ি মনসুরা বেগমের যাবজেজীবম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেইসঙ্গে ৫০০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাস কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১২ সালের ৫ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রাকিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। বাবা বদরুদ্দোজা এবং দুই ভাই হরিপালে এসে রাকিবাকে অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তাঁরা থানায় রাকিবার উপর অত্যাচার এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাকিবাকে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিনই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি মারা যান।
পুলিশ রাকিবার স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, দেওর, ননদ-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারী অফিসার সূদীপ্ত সাধুঁখা জানান, ওই গৃহবধূ পুলিশ এবং চিকিৎসকদের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy