Advertisement
E-Paper

হেলে পড়া বাড়ি ভাঙতে উদ্যোগ হাওড়া পুরসভার

হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রোশন গুলজার লেনের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি ১০ কাঠা জমিতে তিনটি ছ’তলা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। তারই একটি বাড়ির একাংশ কয়েক দিন আগে হেলে পড়ে পাশের বহুতলটির দিকে। সেই বহুতলে ইতিমধ্যেই লোকজন এসে গিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০৩
অবৈধ: ভাঙা হবে এই বাড়িই। নিজস্ব চিত্র

অবৈধ: ভাঙা হবে এই বাড়িই। নিজস্ব চিত্র

মাত্র তিন ফুট চওড়া রাস্তা। সেখানেই তৈরি হচ্ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি একটি ছ’তলা বাড়ি। কয়েক দিন আগে সেই বাড়ি বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়ে পাশের আর একটি বহুতলের দিকে। কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শ ছাড়াই সেই হেলে পড়া বহুতল ‘স্ক্রু জ্যাক’ পদ্ধতিতে সোজা করার কাজ শুরু করেছিলেন প্রোমোটার নিজে। কিন্তু খবর পেয়েই পুরসভা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে আটক করা হয় ভিন্ রাজ্য থেকে আসা একটি সংস্থার তিন কর্মীকে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রোশন গুলজার লেনে। পুরকর্তারা জানান, বহুতলটি সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু সেটি এই অবস্থায় ভাঙতে গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই কী ভাবে বাড়িটি ভাঙা যায়, তা নিয়ে শিবপুরের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ (আইআইইএসটি)-র ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রোশন গুলজার লেনের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি ১০ কাঠা জমিতে তিনটি ছ’তলা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। তারই একটি বাড়ির একাংশ কয়েক দিন আগে হেলে পড়ে পাশের বহুতলটির দিকে। সেই বহুতলে ইতিমধ্যেই লোকজন এসে গিয়েছেন। তাই হেলে পড়া বাড়িটি ভেঙে পড়লে বড় অঘটন ঘটতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই এলাকার লোকজন পুরসভাকে খবর দেন। তবে তার আগেই প্রোমোটার উত্তরপ্রদেশের একটি সংস্থাকে নিয়ে এসে ‘স্ক্রু জ্যাক’ পদ্ধতিতে হেলে পড়া দিকটি সোজা করার কাজ শুরু করেন। এ দিন সেই কাজ করার সময়ে পুরসভার বিল্ডিং দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ ওই সংস্থার তিন কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এলাকার বাসিন্দা জুলফিকার আহমেদ বলেন, ‘‘এখানে একের পর এক বেআইনি বহুতল তৈরি হয়েছে। ওই বাড়িটিও পুরসভার কোনও অনুমোদিত নকশা ছাড়াই জলাজমি বুজিয়ে তার উপরে তৈরি হচ্ছিল। সেই কারণেই বাড়িটি হেলে পড়ে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সব জেনেও এখন না জানার ভান করছেন।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে এই নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত বড় মাপের একটি বেআইনি নির্মাণ সম্পর্কে কি কোনও তথ্যই ছিল না ওই ওয়ার্ডের তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলর ইসমত আরা বেগমের কাছে? ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। পরে ফোন করুন।’’ এর পরে বারবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। মেসেজ পাঠানো হলেও জবাব দেননি।

হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘বাড়িটি পুরো বেআইনি ভাবে তৈরি হচ্ছিল। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারেরা দেখে এসেছেন। আশপাশের কোনও ক্ষতি না করে কী ভাবে ওই নির্মাণ ভাঙা যায়, সে ব্যাপারে আইআইইএসটি-র সাহায্য চাওয়া হয়েছে। পুরসভাকে না জানিয়ে কী ভাবে বাড়িটি তৈরি হল, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’’

Demolish Inclined Building Howrah Municipality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy