হাওড়া পুরসভার কাছে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পেলেন না বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যেরা। সদস্যদের একাংশের মতে, পুরকর্তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অফিসার ও কর্মীদের উপরে নির্ভরশীল হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দফতরের ঠিক তথ্য থাকছে না। কর্মীদের আন্তরিকতার অভাবকেই দায়ি করেছেন তাঁরা। স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষে রাজ্য সরকারের কাছে হাওড়া পুরসভার শূন্য পদগুলিতে দক্ষ কর্মী নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যেরা সেখানে যান। দলে ছিলেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত, মহেশতলার পুর চেয়ারম্যান দুলাল দাস, দার্জিলিংয়ের পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ রাই, কান্দুয়ার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার এবং সিপিএম বিধায়ক রুণু বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তীর ঘরে ওই বৈঠকে ছিলেন সেখানকার মেয়র পারিষদেরাও। তিন ঘণ্টা বৈঠকের শেষে কমিটি জানায়, বহু ক্ষেত্রেই পুরকর্তারা তথ্য জানাতে পারেননি। দিনে শহরে কত পানীয় জল লাগে, জানা যায়নি। দিনে কত জল খরচ হয় বা মাটির নীচ থেকে কত জল তোলা হয়, মেলেনি সে তথ্যও। হাওড়া পুরসভার বকেয়া কর কোটি কোটি টাকা। তারও হিসেব হাতে নেই পুর কর্তাদের। সম্পত্তির মিউটেশন সময় মতো না হওয়ায় পুরসভার রাজস্বে ক্ষতি হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন বৈঠকে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রের ‘নিজ ভূমি, নিজ গৃহ’ প্রকল্পের ব্যর্থতা নিয়ে। প্রকল্পটির রিপোর্ট তিন বছর আগে দেওয়ার কথা ছিল। তা আজও দেওয়া হয়নি। ফলে কেন্দ্রের টাকাও পাচ্ছে না হাওড়া। পরে কমিটির চেয়ারম্যান রথীনবাবু বলেন, ‘‘পরামর্শ দিয়েছি, কী কী করা দরকার। তবে এ সব সমস্যা থাকলেও পুরসভার সার্বিক উন্নয়ন সন্তোষজনক হয়েছে।’’ হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এমন বৈঠক হওয়া প্রয়োজন। স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যেরা অভিভাবকসুলভ নির্দেশিকা দিয়েছেন। যে সব বিষয়ে ঘাটতি আছে, তা পূরণের চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy