Advertisement
E-Paper

খালের পাড় ধসছে, হয়নি স্লুইস গেটও, ক্ষোভ গ্রামে

এলাকার খালে একটি স্লুইস গেট এবং একটি সেতু নির্মাণের দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের। ভোট এলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস শুনে আসছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তা তৈরি হয়নি। তার উপরে খালের বাঁধেরও মেরামত হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০২:৪৮
এই খালের মুখে স্লুইস গেট বসানোর দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।

এই খালের মুখে স্লুইস গেট বসানোর দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।

এলাকার খালে একটি স্লুইস গেট এবং একটি সেতু নির্মাণের দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের। ভোট এলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস শুনে আসছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তা তৈরি হয়নি। তার উপরে খালের বাঁধেরও মেরামত হয়নি। তাই ফি-বছর বর্ষায় খাল উপচে জল ঢুকে শ্যামপুরের বাণেশ্বরপুর-২ পঞ্চায়েতের শিবপুর, মালঞ্চবেড়িয়া, চাউলখোলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়। এ বারেও বর্ষার শুরুতেই গ্রামবাসীরা এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।

সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, স্লুইস গেট-সহ সেতু নির্মাণের কাজটির টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তবে, বাঁধ মেরামতি নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি তিনি।

পঞ্চায়েত এলাকার ওই সব গ্রাম ছুঁয়ে বয়ে চলা শিবপুর খালটি গাদিয়াড়ায় ভাগীরথী এবং রূপনারায়ণ নদীর সংযোগস্থলের কাছ থেকে বের হয়ে চার কিলোমিটার দূরে মাল়ঞ্চবেড়িয়া পর্যন্ত গিয়েছে। দুই নদীর সংযোগস্থলের কাছে খালটি হওয়ার ফলে জলের চাপ এবং স্রোত দু’টিই বেশি থাকে। তার জেরে দিন দিন খালের দু’পাড় ভাঙছে। ক্ষতি হচ্ছে লোকালয়ের। খাল পাড়ের বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরছে। কোনও কোনও বাড়ি খালে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নিচু এলাকা হওয়ায় বর্ষায় গ্রামগুলির পুকুর, ডোবা, খাল-বিল জলে টইটুম্বুর হয়ে যায়। নিকাশির সমস্যায় ঠিকমতো জমা জল বের হতে পারে না। সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষবাস। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকেরা খালটির মুখে একটা স্লুইস গেট ও সেতুর দাবি করেছিলেন।

গ্রামবাসীরা জানান, বর্ষায় সব পুকুর ডুবে গিয়ে মাছ বেরিয়ে যায়। জমি জলে ডুবে থাকায় চাষও করা যায় না। সুবর্ণ সামন্ত এবং বসন্ত মণ্ডল নামে দুই গ্রামবাসী বলেন, ‘‘গ্রামে জল ঢুকলে ২-৩ দিন থাকে। খালের মুখে কোনও সেতু না থাকায় কমলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হলে ১২-১৪ কিলোমিটার পথ উজিয়ে যেতে হচ্ছে। সেতুটি থাকলে অন্তত ৫ কিলোমিটার পথ কম হত।’’

গাদিয়াড়া-সহ আশপাশের নদীবাঁধে যাতে ভাঙন না ধরে সে জন্য সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। ফলে, শ্যামপুর এলাকা এখন আর সে ভাবে প্লাবিত হয় না। শুধু বাণেশ্বরপুর অঞ্চলের ২০-৩০ হাজার বাসিন্দাই এখনও সমস্যায় পড়ছেন। খালটির মুখের কাছে ২০০ ফুটের বেশি চওড়া হয়ে গিয়েছে। আর ভিতরের দিকে ২০ ফুটের খাল ৬০-৭০ ফুট চওড়া হয়ে গিয়েছে। জল ধাক্কা মারছে বাঁধে।

shyampur baneswarpur panchayet chaulkhola howrah flood sluice gate canal bank
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy